ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল ও নাজিরাবাজার মাতৃসদনে ২৪/৭ মিডওয়াইফারি-নেতৃত্বাধীন যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য (এসআরএইচ) সেবার উদ্বোধন করেছেন। অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান অপারেশন হ্রাসের মাধ্যমে নগরীর প্রজনন স্বাস্থ্যসেবায় গুণগত উন্নয়ন এবং ঢাকা শহরের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে মানসম্মত ও সহজপ্রাপ্য মাতৃসেবা প্রদান করার লক্ষ্যে এ প্রকল্প চালু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই ) ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক আনুষ্ঠানিকভাবে নগরবাসীর স্বাস্থ্য সেবা আরো সহজলভ্য করার জন্য এই প্রকল্প চালু করেছেন। গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন,ঢাকা দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ রাসেল রহমান । অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ জহিরুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (অতি. দা.) ডা. নিশাত পারভীন, ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, সিডা, ইউএনএফপিএ, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, দেশি-বিদেশি এনজিও প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো জানান,জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ), সুইডিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা (সিডা), জাইপাইগো বাংলাদেশ এবং ডিএসসিসির উদ্যোগে গৃহীত এ প্রকল্প পুরান ঢাকার প্রায় ৮ লক্ষাধিক বাসিন্দার সার্বক্ষণিক কাঙ্ক্ষিত মাতৃসেবা নিশ্চিত করবে। ইউএনএফপিএ এবং জাইপাইগোর সহায়তায় প্রশিক্ষিত ধাত্রী ও চিকিৎসকেরা স্বাভাবিক প্রসবকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই সেবার ৯০% প্রদান করবেন। ফলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মা, নবজাতক এবং কিশোরীদের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস পাবে, সচেতনতা বাড়বে এবং জনগণের মধ্যে সরকারি স্বাস্থ্যসেবার ওপর আস্থা বৃদ্ধি পাবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি প্রশাসক বলেন, "কেবল মুনাফা অর্জনের জন্য ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে সিজারিয়ান ডেলিভারিকে অনেকটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় সিজারে মা ও নবজাতকের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মাধ্যমে পুরো জাতি বিরাট স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।" সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব জনস্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সফল হবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে ডিএসসিসির সকল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মিডওয়েফারি সেবা চালু করা হবে।
ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্যাথরিন ব্রিন কামকং বলেন, “মিডওয়াইফারি-নেতৃত্বাধীন সেবা কেবল চিকিৎসা নয়; এটি নারীর ক্ষমতায়ন এবং সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবায় অবদান রাখে।”
আ. দৈ./কাশেম