ফিলিস্তিনিদের মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে সংহতি জানিয়ে "গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা" কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার (০৭ এপ্রিল) বেলা ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শেখপাড়া বাজার প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রধান ফটকের সামনে সমবেত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট, ছাত্রশিবির ইবি শাখার সেক্রেটারি আবু ইউসুব, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সেক্রেটারি সাজ্জাদ সাব্বিরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকাবাসী ধর্ম-দল-মতের জনগণ এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবার, মুক্তির মূলমন্ত্র ইসলামী শাসনতন্ত্র, ফিলিস্তিনে হামলা কেন, জাতিসংঘ জবাব দে, দে দে দে, জবাব দে জাতিসংঘ জবাব দে, ফিলিস্তিনে গনহত্যা বন্ধ করো করতে হবে, বিশ্বের মুসলিম এক হও লড়াই করো, বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়ো ফিলিস্তিন স্বাধীন করো, বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়ো আল-আকসা রক্ষা করো, বিশ্ব মুসলিম অস্ত্র ধরো, ইসরায়েল খতম করো, Free Free Palestine, 1234 Genocide no more, From the River to the see Palestine will be free, My love my love
বন্ধ করো করতে হবে, ফিলিস্তিনে নারী হত্যা বন্ধ করো করতে হবে, আমার ভাইয়ে/বোনের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না স্লোগান দিতে দেখা যায়।
ছাত্রশিবির ইবি শাখার সেক্রেটারি আবু ইউসুব বলেন, গত রমজানে গাজাবাসীর উপর বর্বরচিত হামলা শুরু করেছিল। তারা যুদ্ধ বিরোধী চুক্তিকে উপেক্ষা করে তারা ফিলিস্তিনের উপর বর্বরোচিত হামলা শুরু করেছিল। রাসুল (স.) সময়েও হুদায়বিয়ার সন্ধি চুক্তি ভঙ্গ করেছিল কাফের সম্প্রদায়।
এভাবে তারা যখন যুক্তি ভঙ্গ করেছিল আল্লাহ তায়ালার সাহায্যে তারা পৃথিবীর বুক থেকে মুছে গিয়েছিল। আমরা ইসরাইলিদের বলে দিতে চাই যেহেতু তোমরা চুক্তি ভঙ্গ করেছ তোমরাও বেশি দিন পৃথিবীর বুকে টিকে থাকতে পারবে না,অতি শীঘ্রই পৃথিবীর মানচিত্র থেকে ইসরাইলকে মুছে ফেলা হবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এখনো ইসরাইলি পণ্য ব্যবহৃত হচ্ছে কিন্তু আমরা সচেতন হচ্ছি না।যারা ইসরাইলের পণ্য সরবরাহ করছে তাদেরকে আমরা সচেতন করে দিতে চাই।
অতি শীঘ্রই ইসরাইলে পর্ণ্য ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। আমাদের কেউ সচেতন থাকতে হবে যেন আমরা ইসরাইলে পণ্য ব্যবহার না করি। আমরা প্রধান উপদেষ্টা কে আহ্বান জানাই অতি শীঘ্রই পাসপোর্ট থেকে ইসরাইল ভ্রমণ নিষিদ্ধ করে দিতে হবে। বাংলাদেশের সাথে ইসরাইলে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দিতে হবে এবং ফিলিস্তিনের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগিতা করতে হবে।
এ সময় তিনি আরব মুসলিম নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা যদি এমন আচরণ করতে থাকেন তাহলে পৃথিবীর মুসলমান আপনাদেরকে বয়কট করতে বাধ্য হবে।
ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আমরা সামনাসামনি দেখতে পাই যে ফিলিস্তিনের উপর এ হামলা করছে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী। কিন্তু আমেরিকা যদি তাদের পৃষ্ঠপোষকতা না করতো তাহলে তাদের দ্বার এটি সম্ভব হতো না। ইসরায়েলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বৃটেন এবং ভারত। ইসরায়েলকে বয়কট করার পাশাপাশি এদেরকেও বয়কট করতে হবে। ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডে বোঝা যাচ্ছে তারা আগামীতেও এই গনহত্যা চালিয়ে যাবে। ,
তাই শুধু বিক্ষোভ মিছিল করেই আমাদের কাজ সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। ইতিমধ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের যে দামামা বেজে উঠেছে তার জন্য আমাদেরকেও শারীরিক এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। ইটের বদলে পাটকের মারতে হবে। যদি আপনি শুধু বিক্ষোভ মিছিল নিয়েই পড়ে থাকেন তাহলে আজ গাযার যে পরিস্থিতি হয়েছে কাল আমাদেরও সেই একই পরিস্থিতি হবে। সারাবিশ্বের সকল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করার সময় এসে গেছে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগামী ০৯ এপ্রিল ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ জানিয়ে ঘন্টাব্যপী সর্বাত্মক শাট ডাউন কর্মসূচি পালন করবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (ভারঃ) অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে নিশ্চিত করা হয়।
আ. দৈ. /কাশেম