রংপুরের বদরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুগ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বদরগঞ্জ পৌর শহরের শহীদ মিনার এলাকায় আজ শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো পৌর এলাকায়। ভয়ে দোকানপাট বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা। পরে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একটি দোকান নিয়ে মালিক ও ভাড়াটিয়ার দ্বন্দ্বের জেরে তাদের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকার ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক মানিকের অনুসারীরা।
বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও ১৩ নম্বর কালুপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল হক মানিক গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। দোকান মালিক ও ভাড়াটিয়াকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের পর বিএনপির দুই নেতাসহ বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবীর মানিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও সদস্যসচিব আনিছুর রহমান লাকু। দখলদারত্ব ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে তাদের।
গুরুতর আহতরা হলেন- বদরগঞ্জ উপজেলার রাজারামপুর গ্রামের লাভলু মিয়া (৫০), কালুপাড়া ইউনিয়নের বৈরামপুর গ্রামের বৈরামপুর গ্রামের মোক্তারুল (৪৫), পাঠানপাড়া গ্রামের মুন্নাফ (৫০), লোহানীপাড়া ইউনিয়নের শফিকুল ইসলাম (৪৫), একই ইউনিয়নের ময়নাল হোসেন (২৫)।
আ. দৈ./কাশেম