রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আঞ্চলিক কার্যালয় ৪ এ নগরীর অসহায় ও গরীবদের জন্য প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের পক্ষ থেকে ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে আর্থিক সহায়তা পাঠানো হয়।
আজ শনিবার (২৯ মার্চ) জনপ্রতি ৪ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন। তবে আর্থিতক সহায়তা বিতরণকালে হঠাৎ বহিরাগতদের অযাচিত হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে।
ডিএনসিসির প্রশাসকের দপ্তর থেকে ওয়ার্ড ভিত্তিক ১০০ জনের নাম, ঠিকানা ও পরিচয়পত্রের নম্বরসহ অনুমোদিত তালিকা অনুযায়ী নগদ ৪ হাজার টাকা করে বিতরণের খবর পেয়ে বহিরাগতরা আঞ্চলিক কার্যালয়ে এসে হাজির হয়। তারা প্রথমে নিজেদেরকে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। একই সাথে নিজেদের বানানো একটি তালিকা উপস্থাপন করে নগদ সহায়তার দাবি করেন। এই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক হৈ.চৈ. শুরু হয়।
এদিকে নাম না প্রকাশের শর্তে মিরপুরের ওই অফিসের একাধিক কর্মচারী জানান, বহিরাগতদের অবৈধ হস্তক্ষেপের এই বিষয়টি জানতে পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন ডিএনসিসির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বহিরাগতদের অবৈধ তালিকারকে চ্যালেঞ্জ করেন এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের (স্যারের) সহযোগিতায় বহিরাগতদের বিতারিত করেন।
সরেজমিন খোঁজনিয়ে আরো জানা যায়, এরআগে ডিএনসিসির প্রশাসককে দপ্তর থেকে সব আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে সব ওয়ার্ডের জন্যই অসহায় নগরবাসীকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য তালিকা চাওয়া হয়েছিল। এরপর অধিকাংশ ওয়ার্ড থেকেই শতাধিক অসহায় লোকের নাম ,ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরসহ তালিকা তৈরি করে নগর ভবনে পাঠানো হয়।
কিন্তু নগরভবন থেকে ১০০ জনের নাম চূড়ান্ত করে আঞ্চলিকা কার্যালয়ে পাঠানো হয়। সর্বশেষ তালিকায় যাদের নাম আছে কেবলমাত্র তারাই নগদ ৪ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন। তবে প্রাথমিক তালিকায় নাম তাকলেও তারা আর সাহায্য পাচ্ছেন না। এই বিষয়টি নিয়েও হৈ..চৈ ..হয়েছে।
ডিএনসিসির মিরপুর ১০ নম্বরের এই আঞ্চিলিক কার্যালয়ের অধিনে ৭টি ওয়ার্ডের অসহায় লোকজনের চূড়ান্ত তালিকায় যাদের নাম আছে, কেবলমাত্র তারাই সহযোগিতা পাচ্ছেন। এর বাইরে কেউ প্রশাসকের পাঠানো সহায়তা পাবে না বলে জানানো হয়।
এসব বিষয়ে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বহিরাগতরা প্রথমে প্রভাব খাঁটানোর চেষ্টা করেন। পরে তাদেরকে তাড়িযে দিয়েছেন। এখানে কোন ধরনের অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি হচ্ছে না বলে, তিনি নিশ্চিয়তা দিয়েছেন।
আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে পাঠানো তালিকায় একশতের বেশি লোকের নাম ছিল। নগর ভবন থেকে আগে বিষয়টি পরিস্কার করেনি, কতজনকে সহায়তা দেওয়া হবে। আগে জানা থাকলে একশত জনের নামের তালিকাই পাঠানো হতো। এখন নগর ভবনের চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ীই আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। এই তালিকায় নাম থাকলে ঈদের পরেও টাকা পাবেন। চূড়ান্ত তালিকার প্রশাসকের দপ্তর করেছে, এখানে আঞ্চলিক কার্যালয় কিংবা ওয়ার্ড সচিবদের কোন হাত নেই।