ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক ড. মহ. শের আলী নগরীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিয়ন্ত্রণে দৈনন্দিন পরিচালিত লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম এবং ডেঙ্গু রোগীর আবাসস্থল ও আশপাশে চিরুনি অভিযান সংক্রান্ত তথ্যাদি 'সংবাদ বিজ্ঞপ্তি' মাধ্যমে প্রতিদিনই গণমাধ্যমকে অবহিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সাথে পূর্ণাঙ্গ তথ্য ডিএসসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে ডিএসসিসির নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে আয়োজিত এক সভায় এসব নির্দেশনা দেন প্রশাসক ড. মহ. শের আলী। সভায় সংশ্লিষ্ট ঢাকা দক্ষিণ সিটির কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলমও অংশ নেন।
সভায় অংশ নিয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, "ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সবসময়ই সমন্বিতভাবে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে থাকে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার নির্দেশনার প্রেক্ষিতে পারস্পরিক সহযোগিতার স্মারক হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মশক নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটিকে 'কিছু পরিমাণে' চতুর্থ প্রজন্মের লার্ভিসাইড ওষুধ নোভালিউরন সরবরাহ করবে।" অর্থাৎ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি সমন্বিতভাবে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সুফল বেশি আসবে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে 'মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সমন্বিত উপায়ে ও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন' নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আয়োজিত এক সভায় ঢাদসিক প্রশাসক এসব নির্দেশ দেন।
ডিএসসিসির প্রশাসক ড. মহ. শের আলী বলেন, "সম্প্রতি সারাদেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। এ প্রেক্ষিতে মৃত্যু হারও বেড়েছে। ফলে, গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রচার ও প্রকাশও বেড়েছে। যদিওবা এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে আমরা যথাযথ গুরুত্ব সহকারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছি। তারপরও নানা কারণে আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম যথাযথভাবে গণমাধ্যমে প্রতিফলিত হচ্ছে না৷ এছাড়া, অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে যেসব রোগী মারা যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে অনেকই ঢাকার ২ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার বাসিন্দা নন।
তথাপি সকল রোগীর আবাসস্থলকে কেন্দ্র করে বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে আমরা এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করে চলেছি। তাই মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বিশেষত বর্তমান সময়ে পরিচালিত এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে আমাদের সামষ্টিক কার্যক্রম 'সংবাদ বিজ্ঞপ্তি' আকারে প্রতিদিনই গণমাধ্যমকে অবহিত করতে হবে। একইসাথে তা আমাদের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করতে হবে।"
সভায় ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, "যে সকল এলাকায় ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেশি সেসব এলাকায় আগামী রবিবার হতে আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সমন্বিতভাবে বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এর মাধ্যমে আমরা ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কমিয়ে আনতে সক্ষম হবো।"
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডিএসসিসি সচিব মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঁঞা, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ,ডিএসসিসি'র আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের, সিস্টেম এনালিস্ট মো. আবু তৈয়ব রোকন, দক্ষিণ সিটির সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ এবং ঢাকা উত্তর সিটির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শরিফ উদ্দিন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।
আ. দৈ. /কাশেম