বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষরে প্রসিকিউশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ডিএসসিসির নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক (স্যানিটারী ইন্সপেক্টর) অঞ্চল-২ মোহাং কামরুল হাসান বাদী হয়ে ১০১/৬ দক্ষিণ গোড়ান বাজারে মা সুইট্স নামের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভেজাল ও নিম্মমানের বিক্রির সুনিদিষ্ট অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। তার মামলার বিবাদী/ আসামি হলো ওই প্রকিষ্ঠানের মিষ্টি বিক্রয়কারী ও মালিক শ্যামল চন্দ্র ।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৭জুলাই দুপুরে ডিএসসিসির নমুনা সংগ্রহকারী মোঃ তোফায়েল আহমেদ।কে সাথে নিয়ে সম্পূর্ণ খোলা অবস্থায় বিক্রযকালে এক কেজি রসগোল্লা ক্রয় করেন। বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের মালিক শ্যামল চন্দ্র দাশের সামনে নমুনাটিকে সমান ০৪ ভাগে ভাগ করে সীলমোহর যুক্ত করে একটি অংশ বিক্রেতাকে অপর একটি অংশ ভবিষ্যতে তুলনার জন্য প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করেন।
ওই দিনই ২৭ জুলাই সংগৃহিত নমুনার দুটি অংশ আধুনিক খাদ্য পরীক্ষাগার এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পরীক্ষার জন্য মোঃ তোফায়েল আহমেদ নিয়ে যান। ডিএসসিসির অঞ্চল-২ এর মাধ্যামে পরবর্তীতে মোঃ ইলিয়াছ জাহেদী, খাদ্য বিশ্লেষক, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, আধুনিক খাদ্যপরীক্ষাগার এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন দুই দিন পর ২৯ জুলাই পরীক্ষার রিপোর্টে ওই রসগোল্লা মানসম্পন্ন নয় বলে সনদপত্র প্রদান করেন।
এরপর নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ২৬ ধারা লংঘন করতঃ একই আইনে ৫৮ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে ডিএসসিসির নগর ভবন ১০ম তলা বিজ্ঞ স্পেশাল মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত মামলায় বাদী আরো উল্লেখ করেন, আদালতে বিচারিক কার্যক্রম চলাকালে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে পরবর্তীতে সাবলিমেন্টারী প্রসিকিউশন অত্র আদালতে দাখিল করা হবে। আদালত এই মামলাটি আমলে নিয়েছেন।
আ. দৈ./কাশেম