ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাবশালী নেতা মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মৃণাল কান্তি দাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রায় ৩ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
দুদক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, আসামি সাবেক এমপি মৃণাল কান্তি দাসের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ৫৫ লাখ ১৭ হাজার ২৩০ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখা সুনিদিষ্ট তথ্য প্রমাণ পেয়েছে দুদক। একই সঙ্গে মৃণাল কান্তি দাসের ৮টি ব্যাংক হিসাবে ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জমা ও উত্তোলনসহ মোট দুই কোটি ৪০ লাখ ৯৯ হাজার ৯০৬ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
যা মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ দুর্নীতি ও ঘুষ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশে উহার রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করার অপরাধ। আর এই অপরাধেই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২ ও ৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ সালের ৫(২) ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়।
দুদক কর্মকর্তা আরও জানান, দ্বিতীয় মামলায় অভিযুক্ত নিলীমা দাস তার স্বামী মৃণাল কান্তির সহায়তায় নিজ নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ৪৫ লাখ ২৮ হাজার ৮৪ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখল রাখার সুনিদিষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে দুদকের কাছে। একই সঙ্গে তিনি নিজ নামীয় ৩০টি ব্যাংক হিসাবে ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জমা ও উত্তোলনসহ মোট ১৬ কোটি ১৯ লাখ ২৭ হাজার ৬৪১ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধে জড়িত। অভিযুক্ত ব্যক্তি দুর্নীতি ও ঘুষ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশে উহার রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করেছেন।
উক্তরূপ অপরাধের জন্য (১) নিলীমা দাস এবং (২) মৃণাল কান্তি দাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২ ও ৩) ধারা,দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ সালের ৫(২) ধারা; এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় আরও একটি মামলা রুজু করা হয়।
আ. দৈ./ কাশেম