ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজশাহী-৪ আসনের অত্যন্ত প্রভাবশালী সাবেক এমপি এনামুল সাবেক এমপি এনামুল হককের বিরুদ্ধে দুই হাজার দুইশ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, বিপুল পরিমান অবৈধ সম্পদ এবং মানিলন্ডারিংয়ের সুনিদিষ্ট অভিযোগে দুদকের পক্ষ থেকে গত ২৮ এপ্রিল একটি মামলায় দায়ের করা হয়। বর্তমানে কারাবন্দি আসামি সাবেক এমপি এনামুল হককে দুদকের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার (১০ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের পক্ষ থেকে করা আবেদনটি শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। গণমাধ্যমকে দুদকের জিআর শাখার কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, রোববার সাবেক এমপি এনামুল হকের আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ওইসময় আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা এ মামলার সঙ্গে আসামির সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি করে জামিন আবেদন করে। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটররা জামিনের বিরোধিতা করেন। পরে উভয় পক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে আদালত আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য,গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক এমপি এনামুল হককে ঢাকার আদাবর থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাজশাহী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হাদিউজ্জামান তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ২৮ এপ্রিল রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক এমপি এনামুল হকের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। এর মধ্যে একটি মামলায় আজ তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি এনামুল হক জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ১৮ কোটি ৮ লাখ ২৮ হাজার ৯২ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন। পাশাপাশি তিনি ও তার প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে পরিচালিত ২২টি ব্যাংক হিসাবে ২০০৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ে মোট ২২৩৯ কোটি ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬০২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
অন্যদিকে, এনামুল হকের সহধর্মিণী তহুরা হকও তার স্বামীর সহায়তায় ৭ কোটি ৯৫ লাখ ৭ হাজার ৮২৭ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসবিহীন সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার ২টি ব্যাংক হিসাবে ৩ কোটি ৪০ লাখ ১৬ হাজার টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আ. দৈ./কাশেম