ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম.নির্যাতন, গুম হত্যা এবং অবিচারের প্রতিবাদে গত বছর ‘জুলাই-আগস্ট’ রাজধানীসহ সারাদেশে ছাত্র জণতার গণ আন্দোলনকালে যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় ফরিদ আহমেদকে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকান্ডের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
এছাড়া, একই থানা এলাকায় আব্দুর রাজ্জাককে হত্যাচেষ্টা মামলায় পুলিশের সাবেক উপ-কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ এবং যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানকেও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আজ বুধবার (৬ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক মাহমুদুল হাসান ও উপপরিদর্শক নাহিদ হাসান খান গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। পরে আদালত সেটি মঞ্জুর করেন।
পলক ও মনিরুলের মামলার সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানাধীন হানিফ ফ্লাইওভারের ওপরে ছাত্র-জনতার সঙ্গে মিছিলে অবস্থান নেন ফরিদ আহমেদ। ঘটনার দিন পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরের দিন সকাল পৌনে ৯ টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ২৩ এপ্রিল যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়।
গত বছরের ১৫ আগস্ট পলককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ বছরের ২১ এপ্রিল ঢাকা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অন্যদিকে ৯ ফেব্রুয়ারি রোববার ভোররাতে রাজধানী রমনা থেকে আটক করা পুলিশের সাবেক উপ-কমিশনার মো. শহিদুল্লাহকে। এছাড়া যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসানকে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আ.দৈ./ কাশেম