মংলা বন্দরের সাবেক ক্যাপ্টেন মো: শরিফুল আহসানের বিরুদ্ধে বৈধ আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭৯ লাখ ১ হাজার ৫৪৭ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুদকের সহকারী পরিচালক স্বপন কুমার রায়বাদী হয়ে সমন্বীত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলা নং ১৫ দায়ের করেন। মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় রেকর্ড করা হয়।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানজীব আহমেদ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, সাবেক ক্যাপ্টেন মো: শরিফুল আহসানের স্থায়ী ঠিকানা: বাড়ি নং ৪১৭, রোড নং ২১, নিরালা আবাসিক এলাকা, কেএমপি রোড, খুলনা সদর।তার বর্তমান ঠিকানা: অ্যাপার্টমেন্ট ই-৬, অর্কিড গ্যালারী, টেনামেন্ট-১০, প্লট নং-৩০১/বি, রোড নং-০৬, ব্লক-ই, বসুন্ধরা আ/এ, ঢাকা।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি সাবেক ক্যাপ্টেন মো: শরিফুল আহসান খুলনায় মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনকালে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ ৭৯ লাখ ১ হাজার ৫৪৭ টাকা মূল্যের স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তির মালিকানা অর্জনপূর্বক নিজ দখলে রেখেছেন।
আসামি মো: শরিফুল আহসান ১৯৭৭ সালের ২০ জুলাই "ট্রেইনী পাইলট' পদে জাতীয় বেতন স্কেল ৪৭৫-৩৫-৬৮৫-টাকা মোতাবেক তৎকালীন চালনা বন্দর কর্তৃপক্ষ, খুলনায় যোগদান করেন। তিনি ১৯৯২ সালে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষে ৭১০০-৮*২০০-৮৭০০/- স্কেলে ডেপুটি হারবার মাস্টার পদে যোগদান করেন। ২০০৩ সাল থেকে প্রায় চার বছর হারবার মাষ্টারের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১২ সালে নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ে যোগদান করেন এবং তাকে গভীর সমুদ্র বন্দর সেলে পদায়ন করা হয়। তিনি ২০১৩ সালে গভীর সমুদ্র বন্দর সেলের নির্বাহী পরিচালক ও ২০১৪ সালে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন এবং বর্তমানে তিনি অবসর গ্রহণ করেছেন।
নোটিশ পেয়ে তিনি দুদকের সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। তার সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার নামে স্থাবর ৮২ লাখ ৬২ হাজার ৯২২ টাকা ও অস্থাবর ১ কোটি ৬৩ লাখ ৪৫ হাজার ৯৩১ টাকার সম্পদ অর্জন করেন। তার মোট বৈধ উৎসের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ৬৭ লাখ ৭ হাজার ৩০৬ টাকা। এর বাইরে তার অর্জিত সম্পদ অবৈধ।
আ. দৈ./ কাশেম