ফ্যাসিন্ট শেখ হাসিনার সরকারের প্রভাবশালী নেতা, সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি ও তার স্ত্রী আইরিন মালবিকা মুনশির বিরুদ্ধে ১০ কোটি সাড়ে ১৪ লাখ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুনিদিষ্ট অভিযোগে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সাথে টিপু মুনশির স্ত্রী ও দুই মেয়ে- তানিয়া অন্যন্যা মুনশি ও তৃষা মুনশির বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, দুদকের দায়ের করা প্রথম মামলায় সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশির বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৯০ লাখ ২৭ হাজার ৬১২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। একই সাথে টিপু মুনশিার বিরুদ্ধে ১১টি ব্যাংক হিসেবে ৩২ কোটি ১৮ লাখ ৫৮ হাজার ৪৫০ টাকার লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, দুদকের করা দ্বিতীয় মামলায় টিপু মুনশির স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৪ কোটি ১৮ লাখ ২৩ হাজার ৭৩০ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। একই সাথে টিপু মুনশির স্ত্রী ও দুই মেয়ে- তানিয়া অন্যন্যা মুনশি ও তৃষা মুনশির বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
কারণ সাবেক মন্ত্রী টিপু মুনশির দুই মেয়ে তানিয়া অন্যন্যা মুনশি ও তৃষা মুনশির নামে কয়েকটি ব্যাংক হিসাব বিবরণী, তারা বিভিন্ন কোম্পানির পরিচালক ও তাদের নামে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার থাকার কথা জানিয়েছে দুদক। টিপু মুনশির দুই মেয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্টদিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশানের এক ব্যবসায়ীর বাসা থেকে টিপু মুনশিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। রংপুরের এক হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর আগে গত ২২ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) টিপু মুনশি ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে।
২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা তিনবার টিপু মুনশি নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২৪ সালে জাতীয় সংসদের নির্বাচনে রংপুর-৪ আসন থেকে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি। ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদে শেখ হাসিনা তাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন।
আ.দৈ. /কাশেম