রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫,
১৪ বৈশাখ ১৪৩২
ই-পেপার

রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
অর্থ-বাণিজ্য
ব্যাংকগুলোর শীর্ষ ব্যক্তিদের অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম-জালিয়াতি
ভঙ্গুর অর্থনীতির গলার কাটা খেলাপি ঋণ
মরিয়ম সেঁজুতি
Publish: Saturday, 1 March, 2025, 6:08 PM  (ভিজিট : 82)

দেশের অর্থনীতি প্রায় ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। বিগত সরকারের আমলে ফোকলা করে দেয়া অর্থনীতির অন্যতম গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে ইতিহাসের সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণ। বর্তমান সরকার এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানের কথা জানাচ্ছে। কিন্তু অর্থনীতির এ বিষফোঁড়া প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বর্তমানে তা তিন লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। 

এ পরিসংখ্যান গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাপক কেলেঙ্কারি ও অনিয়মের শিকার হওয়া ব্যাংক খাতের নাজুক অবস্থাকে তুলে ধরেছে। কোন্ পথে এর সমাধান- তা খুঁজে পেতে চলছে জল্পনা কল্পনা। মূলত সুশাসনের অভাব, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে খেলাপি ঋণে জর্জরিত বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, খেলাপি ঋণ না কমে বরং বাড়ছে। 

এর কারণ হলো, বিগত দিনে ‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের’ বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেয়া। এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও বটে। এছাড়া ব্যাংকগুলোর শীর্ষ পর্যায়ে থাকা ব্যক্তিদের দুর্নীতি ও অনিয়মের ফলেও খেলাপি ঋণ, অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম-জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা বেড়েছে, যা কঠোরভাবে রোধ করা প্রয়োজন। অর্থনীতিবিদদের মতে, খেলাপি ঋণ আদায়ে দুই ধরনের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। একটা হচ্ছে পলিসিগত; আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে আইনি পদ্ধতি। 

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে, তখন মোট খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। এর পর থেকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলছে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র বের হতে শুরু করেছে। সাবেক সরকারের আমলে ব্যাংক থেকে প্রভাবশালীদের বড় অঙ্কের ঋণ দিতে নানা সুবিধা দেয়া হয়েছিল। পাশাপাশি খেলাপি ঋণ কাগজে-কলমে কম দেখাতে নেয়া হয়েছিল একের পর এক নীতি। সরকার পরিবর্তনের পর সেই নীতি থেকে সরে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সূত্রগুলো বলছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ ও সমালোচিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হওয়া ব্যাংকগুলো ঋণের প্রকৃত চিত্র দেখাতে শুরু করেছে। তাদের মধ্যে ইসলামী ব্যাংকে খেলাপি ঋণ বেশি বেড়েছে। একইভাবে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণও বেশ বেড়েছে। পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, এস আলমসহ আরো কিছু বড় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছে। এতেও বেড়েছে খেলাপি ঋণ। 

অর্থনীতিবিদেরা অনেক দিন ধরেই অভিযোগ করছেন, তৎকালীন সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ লুটপাট হয়েছে, যার একটা বড় অংশই বিদেশে পাচার হয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, দেশের ব্যাংকব্যবস্থায় গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা, যা গত সেপ্টেম্বর শেষে ছিল ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকেই শ্রেণিকৃত ঋণ বা খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৬০ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। 

ডিসেম্বর শেষে মোট বিতরণ করা ঋণের ২০ দশমিক ২০ শতাংশ খেলাপি হয়ে গেছে। এদিকে গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বা ওই তিন মাসে ব্যাংকব্যবস্থায় খেলাপি ঋণ বাড়ে ৭৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। এর মানে গত ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর গতকাল বুধবার খেলাপি ঋণের তথ্য জানাতে গিয়ে বলেন, খেলাপি ঋণ বেড়েছে। আগেই বলেছিলাম, খেলাপি ঋণ বাড়বে। তবে এখনো খেলাপি ঋণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়নি। তিনি আশ্বস্ত করেন, ব্যাংক থেকে আমানতকারীদের টাকা পেতে কোনো সমস্যা হবে না। 

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ নিতে অনেক শর্তের মধ্যে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কমানোর কথাও আছে। আইএমএফ বলেছে, রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের নিচে এবং বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে হবে। খেলাপি প্রসঙ্গে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম আজকের দৈনিককে বলেন, খেলাপি ঋণ ব্যাংক খাতের অন্যতম প্রধান সমস্যা। বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণের যে তথ্য দেয়, বাস্তবে তা আরো বেশি।

 যেগুলো মামলায় আটকে আছে সেগুলো দেখানো হয় না, আবার খেলাপি হওয়ার পর পুনঃতফসিল করা ঋণও খেলাপি; কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক তা দেখায় না। তিনি আশা করেন, নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর প্রকৃত খেলাপি ঋণের তথ্য বের করে ঋণখেলাপিদের শাস্তির আওতায় আনতে পদক্ষেপ নেবেন। এতো খেলাপির কারণে ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে আগ্রহী হবে না। আমাদের দেশের বিনিয়োগ বাড়ে ব্যাংকের মাধ্যমে। কারণ শেয়ার বাজার এখনো অর্থনীতিতে কোন ভূমিকা রাখতে পারছে না। বিনিয়োগ না বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়বে না বলে মনে করেন তিনি। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণ ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকার ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। শুধু তাই নয়, গত ১৬ বছরের মধ্যে বিতরণ করা ঋণ ও খেলাপি ঋণের সর্বোচ্চ অনুপাত এটি। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, এভাবে খেলাপি বাড়তে থাকলে বড় ধরনের সংকটে পড়বে দেশের ব্যাংক খাত। তাই এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিত। প্রয়োজনে আইন সংস্কারের কথাও বলেন তারা।

জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ে দুই ধরনের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। একটা হচ্ছে পলিসিগত; আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে আইনি পদ্ধতি। তিনি বলেন, পলিসিতে ইদানিংকালে অনেক সহনশীলতা দেখানো হয়েছে। এটা করোনা মহামারির আগে থেকেই শুরু হয়েছে। করোনার অজুহাতে এটা আরো বেড়েছে। এক কথায় সুশাসনের অভাব, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, অব্যবস্থাপনা ও নানা অনিয়মের মাধ্যমে দেয়া ঋণ আর আদায় হচ্ছে না। ফলে বেড়েই চলেছে খেলাপি ঋণ। এতে পুরো ব্যাংক খাতে এখন নড়বড়ে অবস্থা।

তথ্য বলছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। এরপর ব্যাংক খাতের প্রকৃত তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ২০০৮ সালের নির্বাচনে যখন আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসে; তখন ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা। এরপর থেকে ব্যাংক খাতে অনিয়ম ও কেলেঙ্কারি বাড়তে থাকে। ফলে খেলাপি ঋণও ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে। সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সময়েই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৮৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। তার আগের গভর্নর ফজলে কবিরের দুই মেয়াদে খেলাপি ঋণ বেড়েছিল ৬৫ হাজার ৮৪৬ হাজার কোটি টাকা।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, খেলাপি ঋণ আরো বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তার মতে, বাংলাদেশ ঋণের শ্রেণিবিন্যাস বা প্রভিশনিংয়ের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করছে না। আমরা যদি আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করতাম তাহলে এ খাতের দুরাবস্থা দেখতে হতো না। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে এ খাতে ব্যাপক অনিয়ম ও কেলেঙ্কারি হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করেছে। নিয়মকানুন যথাযথভাবে আরোপের আগে ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতা বন্ধে জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে রাইট-অব ঋণ, পুনঃতফসিল ঋণ বিবেচনায় নিলে খেলাপি ঋণের প্রকৃত পরিমাণ আরো বেশি হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এটি একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগের সরকার ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়নি বলেই এ সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত রাইট-অব ও পুনঃতফসিলকৃত ঋণসহ সংকটাপন্ন সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। এরপর থেকে রাইট-অব ও পুনঃতফসিলকৃত ঋণের তথ্য প্রকাশ করছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তথ্য বলছে, কেবল টাকার অঙ্কে নয়, খেলাপি বেড়েছে শতকরা হিসাবেও।  

২০২০ ও ২০২১ সালজুড়ে কয়েক দফায় করোনার কারণে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে কোনো ঋণ পরিশোধ না করে কিংবা সামান্য পরিশোধ করে খেলাপিমুক্ত থাকার সুযোগ ছিল। এ ধরনের সুবিধাগুলোর বেশির ভাগের সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে। এরপর থেকে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ব্যাপকভাবে। ২০২০ সাল থেকে দফায় দফায় খেলাপিমুক্ত থাকার সুবিধা বাড়ানো হয়। এখন অনেকের ব্যবসাবাণিজ্য ভালো গেলেও এক শ্রেণির ব্যবসায়ী ঋণ পরিশোধ করছেন না। ব্যাংকগুলো নানা উপায়ে চেষ্টা করেও তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারছে না। 

২০২৩ সালে ১৮ জুলাই ঋণ পুনঃতফসিলে ব্যবসায়ীদের বড় ছাড় দিয়ে নতুন নীতিমালা ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোসহ নগদ এককালীন জমা দেয়ার হার কমিয়ে ব্যাংকের ক্ষমতা বাড়ানো হয়। এর ১৬ দিনের মধ্যে সংশোধনী দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেয়া নতুন সার্কুলারে ঋণখেলাপিদের আরো ছাড় দেয়া হয়। পাশাপাশি বেশকিছু ক্ষেত্রে কড়াকড়িও করা হয়। একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাম প্রকাশ না করে বলেন, খেলাপি ঋণ হলো ক্যান্সারের মতো। এটা স্বল্প সময়ে না কমলে মৃত্যু নিশ্চিত। 

খেলাপি ঋণের কারণে সবাই টাকা হারাচ্ছে। দেশের ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যাংকগুলোতে সুশাসনের অভাব রয়েছে। পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনায় কার কী দায়িত্ব, তা নির্ধারিত হলেও অনেকে মানছে না। এ জন্য নির্দেশিত ঋণ হচ্ছে, যা পরবর্তী সময়ে খেলাপি হয়ে পড়ছে। 

আ.দৈ/আরএস

   বিষয়:  ভঙ্গুর   অর্থনীতি   গলার   কাটা   খেলাপি   ঋণ   
আপনার মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

নারী নির্যাতন বন্ধে আইনের সংশোধন প্রয়োজন: মামুনুল হক
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক
ভারত-পাকিস্তান সংকট নিরসনের চেষ্টা করছে সৌদি আরব
পাঁচ বছর আগে অপহরণ হওয়া স্কুলছাত্র নিজেই ফিরল বাসায়
রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে, এটি সংস্কার করা প্রয়োজন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
আরো খবর ⇒

জনপ্রিয় সংবাদ

ডিএনসিসিতে বর্জ্যব্যবস্থাপানা বিভাগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান
কাশ্মীরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ভিডিও প্রকাশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের সভা
পদত্যাগ করলেন আটাবের সবুজ মুন্সী
ঢাকা দুই সিটিতে আওয়ামী দোসর ও দুর্নীতিবাজদের রক্ষায় বিএনপির ব্যাপক তদবির
অর্থ-বাণিজ্য- এর আরো খবর
সম্পাদক ও প্রকাশক : কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ
নির্বাহী সম্পাদক : তৌহিদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মাসুদ আলম

প্রকাশক কর্তৃক ১১/১/বি উত্তর কমলাপুর, মতিঝিল থেকে প্রকাশিত
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : সাগুফতা ডি লরেল (তৃতীয় তলা), কমলাপুর বাজার রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

মফস্বল সম্পাদক : ০১৭৭৫৮১৮২৭৫, ফোন : ০১৭১২-৫০১২৩৬, ০২-৫৮৩১৬১০৯ , ই-মেইল : ajkerdainik@gmail.com
About Us    Advertisement    Terms & Conditions    Privacy Policy    Copyright Policy    Circulation    Contact Us   
© ২০২৪ আজকের দৈনিক
🔝