প্রথম সারির পত্রিকা দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত ‘গত ৬৫ ঘণ্টায় ৭২ ধর্ষণ’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরটি সঠিক নয় বলে দাবি করছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
প্রেস উইং জানায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রকাশিত এই খবরটিতে একটি ফেসবুক পোস্টকে সূত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ওই ফেসবুক পোস্টে দীর্ঘদিনের পুরনো খবরের বিভিন্ন স্ক্রিনশট দিয়ে ঘটনাগুলো ৬৫ ঘণ্টার বলে দাবি করা হয়েছে, যা সত্য নয়।
প্রেস উইং আরো জানায়, ধর্ষণের মতো মারাত্মক অপরাধ নিয়ে অতিরঞ্জিত তথ্য, মিথ্যা পরিসংখ্যান প্রচার করা অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত; এটি জনমনে বিভ্রান্তির উদ্রেক ঘটায়।
দেশে সংগঠিত প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে অন্তর্বর্তী সরকার বদ্ধপরিকর।
এদিকে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও স্থান ও ধর্ষণের ভিকটিমদের তথ্যও ব্যপকভাবে প্রচারিত হচ্ছে।
উদাহরণ হিসেবে আছে; সিংগাইরে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, অটোরিকশা থেকে নামিয়ে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, অবকাশ কেন্দ্রে বেড়াতে গিয়ে ধ'র্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রী, চলন্ত বাসে ডাকাতি-ধর্ষণ, শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী, স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া মেটানোর আশ্বাস দিয়ে নারীকে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ, ট্রলারে মাওয়া ঘাট পার হতে গিয়ে গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, বাবা কর্তৃক ধর্ষণের শিকার এ ধরণের শিরোনামে সংবাদের চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে নারীদের প্রতি অবমাননাকর ঘটনার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং সুরক্ষার জন্য আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মানববন্ধন করা হলেও কমছে নয়া ধর্ষণের সংখ্যা। ফলে দেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করার প্রশ্নও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
এমআই