বিএনপি নেতা প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদে শপথ পড়ানোর দাবিতে টানা ৩৯ দিন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবন তালা দিয়ে রেখেছিলেন তার সমর্থকরা। গত সোমবার (২৩ জুন) সকালে নগর ভবনের কয়েকটি অফিসের তালা খুলে দেন তারা। এই তালা খোলা নিয়ে নগর ভবনে বিএনপির দুই গ্রপের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের মধ্যে এক ধরনের কথার লড়াই চলছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার পাল্টাপাল্টি বক্তব্যও দেন দুজন।
আজ বুধবার (২৫ জুন) এ বিষয়ে আবারও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা। ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘অকারণে আমার ছবিতে জুতা মারার জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে? গুজবকে কেন্দ্র করে আমার পিতাকে ‘চালচোর’ বলে স্লোগান দেওয়ার জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে? শুরুতেই সরকার পক্ষ থেকে সমাধান চেষ্টা যারা দম্ভভরে প্রত্যাখ্যান করে ভোগান্তির জন্য দায়ী তারা ক্ষমা চেয়েছে? নগর ভবন বন্ধ করে ১ কোটির বেশি নগরবাসীকে কষ্ট দেওয়ার জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে? নগর ভবন দখলকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ এবং আহত হওয়ার ঘটনায় কেউ ক্ষমা চেয়েছে? ইশরাক হোসেনের বক্তব্য অনুযায়ী উপদেষ্টা পরিষদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের জন্য আমাকে বারবার ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ, আমার পরিবারকে আক্রমণ, জবাই করার স্লোগান দেওয়াসহ অব্যাহত মানহানির জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে?’ ইশরাক হোসেন ফৌজদারি অপরাধ করেছেন।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া আরও লিখেছেন, ‘কিন্তু আমাকে ক্ষমা চাইতে হবে কেন, কারণ আমি বলেছি কয়েকজন নেতার প্ররোচনায় এই আন্দোলন হয়েছে। আমি সত্যি বলেছি, এবং সত্যি যে বলেছি এটা তিনিও জানেন। তাঁকে যে ট্র্যাপে ফেলা হয়েছে, ফর এ বেটার নেগোসিয়েশন ব্যবহার করা হয়েছে তা তিনি ভালো করেই জানেন এবং আমার পরিচিত একাধিক ব্যক্তির কাছে স্বীকারও করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘এত নোংরামি করার পরও গত দেড়মাসে একবারের জন্যও ভদ্রতার লাইন ক্রস করিনি। একবারও ব্যক্তিগত আক্রমণ করা কিংবা ছোট করে কথা বলিনি। আমার লড়াই, রাজপথ, রাজনৈতিক পথচলা কিংবা পরিবার কেউই আমাকে এই শিক্ষা দেয়নি। আমি ধৈর্য ধরেছি, জবাব দেইনি বলে, যে এসব অন্যায় জবাবহীন থেকে যাবে এমনটা না। ইতিহাস সবাইকেই যার যার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়।
আ. দৈ./কাশেম