আসন্ন পবিত্র আশুরা ও রথযাত্রা উপলক্ষে রাজধানীজুড়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
বুধবার (২৫ জুন) ডিএমপি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় তিনি বলেন, এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো যাতে শান্তিপূর্ণ, শৃঙ্খলাপূর্ণ ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়, সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, বিভিন্ন সেবা সংস্থা এবং আশুরা ও রথযাত্রা আয়োজক কমিটির নেতারা। ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এরপর শুরু হয় উন্মুক্ত আলোচনা, যেখানে আয়োজকরা বিভিন্ন নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলাজনিত বিষয় নিয়ে মতামত ও পরামর্শ দেন।
সভায় ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকাবাসী সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এসেছে। আশুরা ও রথযাত্রার মতো গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও পারস্পরিক সম্মান ও সহনশীলতা বজায় থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আয়োজকদের উদ্দেশে বলেন, মিছিলের শৃঙ্খলা রক্ষায় যেন যথেষ্ট স্বেচ্ছাসেবক রাখা হয় এবং পুলিশ যেন নির্বিঘ্নে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিচালনা করতে পারে— সে জন্য সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, আগামী ২৭ জুন রথযাত্রা এবং ৫ জুলাই উল্টো রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৬ জুলাই পালিত হতে পারে আশুরা। এসব অনুষ্ঠান ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে কঠোর নজরদারি থাকবে। তাজিয়া মিছিলের শুরু থেকেই ভিডিও ক্যামেরায় নজরদারির ব্যবস্থা রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
সমন্বয় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী, সিটিটিসির প্রধান মাসুদ করিম, বিভিন্ন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, ডেসকো, ডিপিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ নানা সংস্থার প্রতিনিধি এবং মিছিল ও রথযাত্রা উদযাপন কমিটির নেতারা।
সভা শেষে ডিএমপি কমিশনার সকলের প্রতি আহ্বান জানান, সবাই যেন নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন এবং রাজধানীতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন হয়— এমন পরিবেশ নিশ্চিতে একযোগে কাজ করেন।