টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বিয়ের দাবি নিয়ে ইমামের বাড়িতে তানহা তমা (১৬) নামে এক অনশনরত মাদরাসাছাত্রী শেষ পর্যন্ত বিয়ে করেই অনশন ভেঙেছেন। অভিযুক্ত প্রেমিক মাহাদি হাসান (২৭) পেশায় একজন মসজিদের ইমাম। সামাজিক ও পারিবারিক চাপে তরুণীকে বিয়ে করতে বাধ্য হন প্রেমিক মাহাদি। পরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে মাহাদি হাসান ও তানহার বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে বিয়ের পরপরই নবদম্পতি আত্মগোপনে চলে যান। আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি ) বিকেল পর্যন্ত তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী তানহা তমা স্থানীয় সবুজ সঙ্গ দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং উপজেলার বরকতপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে। অভিযুক্ত মাহাদি হাসান উপজেলার কয়েড়া গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে এবং সে বরকতপুর জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে এলাকাবাসীর একাংশ মাহাদি হাসানের বিরুদ্ধে অনৈতিকতার অভিযোগ তুলে তাকে ইমামের দায়িত্ব থেকে অপসারণের দাবি জানায়। উত্তেজনার সৃষ্টি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং তাকে মসজিদ ত্যাগ বলা হয়। পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে যায়, পুলিশ এসে মাহাদির কক্ষে তালা ভেঙে প্রবেশ করে এবং খাটের নিচে লুকিয়ে থাকা তানহাকে উদ্ধার করে। স্থানীয়দের মধ্যে ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগী তানহা জানায়, পরিবার ও সমাজের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর, ওই রাতেই তানহা প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। তিনি পরিস্কার জানিয়ে দেন, মাহাদি যদি তাকে বিয়ে না করেন, তবে তিনি আত্মহত্যা করবেন।
এ ব্যাপারে প্রেমিক মাহাদি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই, আমি তাকে আমার কক্ষে আসতেও বলিনি। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। তবে সামাজিক ও পারিবারিক চাপে তিনি বিয়ে করতে রাজি হন।
এদিকে জানা গেছে, মাহাদি আগেও একবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন, তবে দীর্ঘদিন যোগাযোগ না থাকায় সেই সংসার নিয়ে একটি মামলা চলমান রয়েছে। অন্যদিকে, স্থানীয় মসজিদ কর্তৃপক্ষ মাহাদির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে তাকে ইমামের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়। এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।
আ. দৈনিক / কাশেম/ আমিনুল