দুদক মহা পরিচালক আরো জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৬৪ জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের সাবেক পরিচালক এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ডাটা বেইজ তৈরি ও গণউদ্ধব্ধ করণ শীর্ষক কর্মসূচির পরিচালক সৈয়দ মুজিবুল হকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে জালিয়াতি,ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ৭৪ লাখ ৩৬ হাজার ৭৫০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়েরর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
দুদকে অভিযোগ রয়েছে, গত ২০১১ সালের ২৮ জুলাই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সার্টিফিকেট তৈরি, ডিজিটাল পদ্দতিতে ছাপানো, ডেটাবেজ তৈরি সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ক্রয়বাবদ এক কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। জাপান- বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড পের্পাসলিমিটেডকে ১ কোটি ৮২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৪০ টাকায় কার্যাদেশ দেওয়া হয়। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে দুদকে দেওয়া পত্রে সার্টিফিকেট গ্রহণের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। আরো অভিযোগ রয়েছে, আংশিক সরবরাহ বিল বাবদ সাড়ে ৯৮ লাখ টাকার অর্থ মঞ্জুর করেন এবং ৭৪ লাখ ৩৬ হাজার ৭৫০ টাকা ভ্যাট/ ট্যাক্স পরিশোধ করা হয়।
অভিযুক্ত মুজিবুর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৭৪ লাখ ৩৬ হাজার ৭৫০ টাকা আত্মসাৎ করেন। তার অপরাধে সাথে জড়িত জাপান- বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড পের্পাসলিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. সেলিম প্রধান ও সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্তাপনা পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন। আর ওই অভিযোগেই তাদের ৩ জনের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৯/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাএবং ১৯৪৭ সালের দুনীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা একটি মামলা দায়ের করবে দুদক।
আ. দৈ./ কাশেম