ফিক্সিংয়ের সন্দেহ ওঠায় এনামুল হক বিজয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে; সকাল থেকে এমন খবরে সয়লাব দেশের ক্রিকেটপাড়া। বিষয়টি নিয়ে দিনভর নীরব থাকলেও আজ শনিবার সন্ধ্যায় মুখ খুলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এক বিবৃতিতে বিসিবি বলেছে, ‘দুর্নীতি দমন আইন সম্পর্কিত আইনি সমস্যার কারণে দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয়ের ওপর ‘দেশের বাইরে ভ্রমণ বা দেশ ত্যাগের উপর নিষেধাজ্ঞা’ দেওয়া হয়েছে; সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করছে বিসিবি। বিসিবি স্পষ্টভাবে জানাতে চায়, বিজয়ের ওপর এই ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে তারা অবগত নয় এবং এই মুহূর্তে তার ওপর আরোপিত কোনো আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে কোনো বিজ্ঞপ্তি পায়নি।’
বিসিবির বিবৃতিতে আরও যোগ করা হয়, ‘বিসিবি বিপিএল-সংক্রান্ত সম্ভাব্য দুর্নীতিবিরোধী উদ্বেগ সম্পর্কিত গণমাধ্যম প্রতিবেদনেরও অবগত রয়েছে। বোর্ড পুনরায় নিশ্চিত করতে চায় যে, খেলার সততা ও আদর্শ রক্ষার প্রতি বিসিবি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিসিবি আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী বিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে এবং যেকোনো ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখে।’
একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে বিসিবি আরও বলেছে, ‘বিসিবির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট বাংলাদেশ ক্রিকেটের সততা সম্পর্কিত সকল বিষয় নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং যথাযথ গোপনীয়তা ও সংবেদনশীলতার সঙ্গে বিষয়গুলো পরিচালনা করছে। এরই অংশ হিসেবে, দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট এর তদন্ত কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। বিসিবি একটি ন্যায়সঙ্গত ও স্বচ্ছ ক্রিকেটীয় পরিবেশ নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং বাংলাদেশে খেলাধুলার সততা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকবে।’
সকাল থেকে দেশের প্রায় সব গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দুর্নীতি দমন বিভাগের পক্ষ থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অনুরোধ জানানোর পরই বিজয়ের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। বিসিবির এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রথম এমন সংবাদ প্রকাশ করে দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিক।
এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে দুর্বার রাজশাহীসহ বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রায় ১০ জন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। ছাড়া আসরটিতে সন্দেহজনক ঘটনা চোখে পড়েছে বলে জানান কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকও।
আ.দৈ/আরএস