বিপিএল শুরুর আগেই খেলোয়াড়দের বকেয়া অর্থ পরিশোধ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি দলকে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে চুক্তির ২৫ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করতে হয়, বাকি অর্থ দিতে হয় ধাপে ধাপে। কিন্তু এবারের আসরে বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি সেই নিয়ম মানেনি, যা নিয়ে দেশ-বিদেশে সমালোচনা চলছে।
টুর্নামেন্ট প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এলেও অনেক ক্রিকেটার এখনো তাদের পাওনা টাকা পাননি। মাঠের খেলা যতই জমজমাট হোক, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর এসব অনিয়ম বিপিএলের ভাবমূর্তিতে কালো ছায়া ফেলেছে। বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম মনে করেন, এই সমস্যার জন্য বিসিবিও দায় এড়াতে পারে না।
বিসিবির স্বীকারোক্তি
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন,
"দিন শেষে এটি বোর্ডেরই দায়। আমরা অন্য কাউকে দোষ দিতে পারি না। আমাদেরই দায় নিতে হবে। কিছু ঘটনা একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল, যা আমরা কল্পনাও করিনি। তবে দায় আমাদেরই নিতে হবে।"
তিনি আরও জানান, বিসিবির সাম্প্রতিক প্রশাসনিক পরিবর্তনের ফলে এবারের বিপিএলের প্রস্তুতিতে ঘাটতি ছিল। আগস্টে বোর্ডের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসার পর টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, যা প্রস্তুতিকে প্রভাবিত করে।
"প্রস্তুতির জন্য যে পরিমাণ সময় দরকার ছিল, তা আমাদের হাতে ছিল না। শুরুতে সন্দেহ ছিল আদৌ এই টুর্নামেন্ট করা সম্ভব হবে কি না। তবে শেষ পর্যন্ত এটি আয়োজন করতে পেরেছি, যা ইতিবাচক। কিন্তু টুর্নামেন্টের সূক্ষ্ম বিষয়গুলো ঠিকমতো দেখার সময় পাইনি, সেটাও আমাদের ব্যর্থতা।"
ইতিবাচক দিকগুলো ধরে রাখতে চায় বিসিবি
যদিও বিপিএলে পেমেন্ট ইস্যুতে সমালোচনা চলছে, তবে এবারের আসরে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তনও এসেছে। দর্শক উপস্থিতি বেড়েছে, উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হয়েছে, আর বেশ কিছু হাই-স্কোরিং ম্যাচ উপভোগ করেছে সমর্থকরা।
ফাহিম বলেন, "পরবর্তী আসরের জন্য ভালো দিকগুলো ধরে রাখতে চাই। আমরা নিশ্চিত করতে চাই, যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো অংশ নেবে, তারা যেন আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হয়। এবার আমরা ২০০ রান হতে দেখেছি, প্রচুর দর্শক উপভোগ করেছে। এসব ইতিবাচক দিক সামনে রেখে পরের বিপিএল আরও উন্নত করতে চাই।"
আ. দৈ./ সাধ