দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়া জেজু এয়ারের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানের ইঞ্জিনে হাঁসের ডিএনএ পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ইঞ্জিনে বাইকাল টিলস নামক এক প্রজাতির পরিযায়ী হাঁসের দেহাবশেষের অস্তিত্ব।
গত ২৯ ডিসেম্বর, থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ানগামী জেজু এয়ারের ফ্লাইট ৭সি২২১৬-এ মোট ১৮১ জন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৭৫ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু সদস্য। অবতরণের সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হলে ১৭৯ জন যাত্রী নিহত হন।
তদন্তের প্রাথমিক তথ্য
তদন্তে উঠে এসেছে, অবতরণের সময় বিমানটি রানওয়ের শেষ প্রান্তে একটি প্রাচীরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বিধ্বস্ত হয়। এর ফলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও আগুন ধরে যায়। বিমানের সামনের অংশ পুরোপুরি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং উভয় ইঞ্জিন রানওয়ের পাশে প্রাচীরের নিচে চাপা পড়ে।
হাঁসের উপস্থিতি ও ইঞ্জিনের ক্ষতি
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিমানের ইঞ্জিনে বাইকাল টিলস প্রজাতির হাঁসের উপস্থিতি বড় ধরনের ইঞ্জিন ক্ষতির কারণ হতে পারে। তবে, ইঞ্জিনে হাঁস ঢুকে যাওয়ার কারণে ঠিক কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তা এখনও পুরোপুরি নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
তদন্তকারীরা বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার ব্যবহারের অভাব এবং শেষ মুহূর্তে ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে কাজ করছেন। ফুটেজ থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটি রানওয়ের শেষ প্রান্তে প্রাচীরের সঙ্গে আঘাত হানে।
তদন্ত কমিটি বলছে, দুর্ঘটনার সম্পূর্ণ কারণ জানতে আরও সময় লাগবে। এরই মধ্যে নতুন প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
আ. দৈ./ সাধ