মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, অবশেষে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে এবং তারা সীমান্ত থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশটির বারনামা আনোয়ার ইব্রাহিমের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, উভয় দেশই এতে সম্মত হয়েছে, তবে তারা কিছুটা সময় চেয়েছে, কারণ তাদের সেনারা ইতোমধ্যে সীমান্তে অবস্থান করছে এবং তাদের প্রত্যাহারের জন্য সময় প্রয়োজন।
আনোয়ার ইব্রাহিম আরো বলেছেন, “গত বৃহস্পতিবার আমি থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছি, যেহেতু মালয়েশিয়ার অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ এবং তারা আমাদের সম্মান করে। আমি কৃতজ্ঞ, কারণ আমি যখন তাদের সঙ্গে কথা বলি, তখন তারা সম্মানের সঙ্গে সাড়া দেয়। কেন? কারণ মালয়েশিয়া একটি শান্তিপূর্ণ এবং স্থিতিশীল দেশ,” তিনি আজ ২০২৫ সালের অ্যান্টি-ড্রাগ ডে উদযাপনে ভাষণ দিতে গিয়ে একথা বলেন।”
গতকাল বারনামা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিলো, প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত এবং আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন, যাতে আরও সংঘাত প্রতিরোধ করা যায়। উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আনোয়ার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এবং থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির বিষয়ে মালয়েশিয়ার উদ্বেগ জানিয়েছেন।
এর আগে দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবরে বলেছিলো, বৃহস্পতিবার দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিতর্কিত সীমান্ত অঞ্চলে সংঘর্ষ হয়, এবং উভয় পক্ষই একে অপরকে এই উত্তেজনার জন্য দায়ী করে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যে ৮১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এখনো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত না হওয়া সীমান্ত নিয়ে কয়েক দশক ধরে বিরোধ চলছে, যা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি করেছে। এই উত্তেজনার সূত্রপাত হয় গত ২৮ মে, যখন প্রোহ ভিহেয়ার এলাকায় সংঘটিত এক প্রাণঘাতী ঘটনার সময় এক কম্বোডিয়ান সেনা নিহত হন।
আ. দৈ./কাশেম