সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য টিপু মুনশিকে নানা দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে তার স্ত্রী আইরিন মালবিকা মুনশি এবং মেয়ে তানিয়া অনন্যা মুনশি ও তৃষা মুনশিকেও। সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তাদেরকে তলব করে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে সাবেক এই মন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রীর পরিবারের বক্তব্য জানার জন্য অফিসিয়াল চিঠি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার তারা হাজির হলে তাদের বক্তব্য ও বেশকিছু নথিপত্র চাওয়া হবে। অন্যদিকে টিপু মুনশি যেহেতু কারাগারে রয়েছেন, যেকোনো দিন গিয়ে তার বক্তব্য নেওয়া হবে।
গত ২৮ আগস্ট রাতে রংপুরের এক হত্যা মামলায় গুলশানের এক ব্যবসায়ীর বাসা থেকে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এর আগে গত ২২ আগস্ট টিপু মুনশি ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন টিপু মুনশি। জানা গেছে, দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একটি দল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
টিপু মুনশিসহ ১৩ জন সাবেক মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ নিয়ে কাজ করছে দুদকের ওই অনুসন্ধানকারী দল। তালিকার বাকি মন্ত্রী-এমপিরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, ধর্মবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী ফরিদুল হক খান, সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টি নেতা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদ নেতা ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, ঢাকা-২০ আসনের সাবেক এমপি বেনজির আহমেদ, যশোর-৩ আসনের সাবেক এমপি কাজী নাবিল আহমেদ, পটুয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি মহিববুর রহমান এবং নাটোর-১ আসনের সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম বকুল।
আ. দৈ. /কাশেম