ফিলিস্তিনের গাজায় ১৫ মাসের সংঘাতের পর ইসরায়েল ও হামাস একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে, যা আগামী রবিবার থেকে কার্যকর হবে। এর আগে উভয় পক্ষ ছয় সপ্তাহের প্রাথমিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের পার্লামেন্টে অনুমোদনের পরই এই চুক্তি কার্যকর হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, এই চুক্তি গাজায় লড়াই বন্ধ করবে, ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সহায়তা বাড়াবে এবং জিম্মিদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেবে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চুক্তির কিছু বিষয় চূড়ান্ত করার জন্য আরও কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন।
হামাস নেতা খলিল আল হাইয়া চুক্তিকে ফিলিস্তিনি জনগণের ‘প্রতিরোধের’ সাফল্য বলে উল্লেখ করেছেন। তিন ধাপের এই চুক্তিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার এবং জিম্মিদের মুক্তির বিষয় অন্তর্ভুক্ত।
যদিও গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। বুধবার চুক্তির ঘোষণার পর ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হামাসের সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। চুক্তির প্রথম ধাপে হামাসের হাতে আটক ৩৩ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের অনেককে মুক্তি দেওয়া হবে। ইসরায়েলি বাহিনী গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে সরে যাবে, যা বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ফিরে আসার সুযোগ দেবে।
দ্বিতীয় ধাপে থাকবে বাকি জিম্মিদের মুক্তি এবং ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা। তৃতীয় ধাপে গাজার পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা হবে। চুক্তি বাস্তবায়নে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর সহায়তা করবে।
আ. দৈ./ সাধ