কক্সবাজারে মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৩২৫ দরিদ্র জেলে পরিবারের মধ্যে আইজিএ উপকরণ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ত্রিশ পরিবার কে ৩০০০ টাকা ও ২৯৫ পরিবার কে ৫টি করে হাঁস ও ছয় প্রজাতির সবজি বীজ বিতরণ করা হয়। এসব দরিদ্র জেলে পরিবারকে পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় গৃহীত স্কীম বাস্তবায়নে দরিদ্র জেলে পরিবার গুলোর পুনর্বাসনে উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় এমটিবি ফাউন্ডেশন ও নজরুল স্মৃতি সংসদ (এনএসএস) এর চকরিয়া মা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রস্থ বিএন স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৩২৫ দরিদ্র জেলে পরিবারকে হাঁস সবজি বীজ ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।উক্ত বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আইজিএ উপকরণ ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন এমটিবি ফাউন্ডেশনের চিপ একজিকিউটিভ অফিসার সামিয়া চৌধুরী, এমটিবির কক্সবাজার ও চকরিয়া ব্রাঞ্চ ম্যানেজার।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নজরুল স্মৃতি সংসদ (এনএসএস) এর র্নিবাহী পরিচালক সাহাবুদ্দিন পান্না, ডিরেক্টর ফিল্ড অপারেশন জহিরুল ইসলাম, মা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র -এনএসএস এর ক্লিনিক ম্যানেজার বিজন কুমার বিশ্বাস। কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও সুবিধাভোগীরা।
সুফলভোগী রত্না দাশ প্রতিনিধিকে তার অভিমত প্রকাশ করে বলেন বর্তমানে সবচেয়ে অসহায় জনগোষ্ঠী জেলে সম্প্রদায়ের মানুষ। আগে স্বামীর একার আয়ে পরিবার চালাতে কষ্ট হতো। এমটিবি ও নজরুল স্মৃতি সংসদ হতে আর্থিক সুবিধা পেয়ে একটা সেলাই মেশিন কিনে নিজেই দর্জির কাজ করে পরিবারে সাপোর্ট দিতে পারছি। বর্তমানে ছয় জনের পরিবার নিয়ে ভালো আছি।
সুফলভোগী আর একজন বুলু আক্তার জানান আমি পাঁচ টি হাঁস ও সবজি বীজ পেয়ে ছিলাম এখন আমার চারটি হাঁস ডিম দেয় তা থেকে প্রতিদিন ৭০/৮০ টাকা পাই। এছাড়াও গত দুই মাসে পরিবারের সবজি চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করে কিছু টাকাও আয় করেছি। এবার ও পাঁচটি হাঁস ও সবজি বীজ পেয়েছি। আশা করি আরো ভালো হবে পরিবারের জন্য। তিনি এমটিবি ফাউন্ডেশন ও নজরুল স্মৃতি সংসদ কে অনুরোধ করেন সুফলভোগীর সংখ্যা বাড়ালে দরিদ্র জেলে পরিবারের জন্য ভালো হবে।
আ. দৈ./ কাশেম/ বিজন