রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকদের টার্গেট দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা পরিচয়ে অভিযান পরিচালনা, মোটা অংকের জরিমানা আদায়, চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই প্রতারক চক্রটি নিজেদেরকে কথিত ‘দুর্নীতি নিবারণ সহায়ক সংস্থা’ নামে একটি প্রতারক চক্রের তিন সদস্য বলে জানান।
আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে তাদের আটক করে রাখা হয়। সন্ধ্যার পর পল্টন থানা পুলিশ দুদক কার্যালয় থেকে তাদের গ্রেফতার করে। গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।.
গ্রেফতাররা হলেন- কথিত দুর্নীতি নিবারণ সহায়ক সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম সম্রাট, পরিচালক (অপারেশন) মো. রায়হান ওরফে সৈয়দ রায়হান, নেত্রকোনার সাইফুল ইসলাম। এছাড়া মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন পটুয়াখালীর সোলাইমান মুফতি, সিয়াম মাহমুদ মোবারক, হবিগঞ্জের রনি আহেমদ পায়েল এবং অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও আটজনকে আসামি করা হয়েছে।
দুদক কর্মকর্তা আক্তার হোসেন বলেন, দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে প্রতারক চক্রের দুই সদস্য। পরে তাদের স্বীকারোক্তি রেকর্ড করে অজ্ঞাত আট আসামিসহ ১৪ জনের নামে পল্টন থানায় একটি প্রতারণার মামলা করা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে এই চক্রের বিরুদ্ধে খবর প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই ও অভিযান পরিচালনা করতে দুদকে আসে প্রতারক চক্রের দুই সদস্য। দুদকের নিরাপত্তাকর্মী ও কর্মকর্তারা তাদের আটক করেন। পরে প্রতারকদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে আরেক জনকে আটক করা হয়।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে ১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নগদ ও বাকিতে প্রায় ৫ লাখের বেশি টাকা চাঁদাবাজির কথা স্বীকার করেন।
আ. দৈ/ কাশেম