জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টির প্রথম আসরে শিরোপা ঘরে তুলেছে রংপুর বিভাগ। ফাইনালে দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ঢাকা মেট্রোকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে আকবর আলীর দল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে রংপুরের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে মাত্র ১৬.৩ ওভারে ৬২ রানে অলআউট হয় মেট্রো। রেকর্ড সর্বনিম্ন এই সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে শুরুর ধাক্কা সামলেও ১১.২ ওভারে জয় নিশ্চিত করে রংপুর।
প্রথমে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় রংপুর। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা মেট্রো। প্রথম ওভারেই মাত্র ৪ রানে ইমরানুজ্জামানকে আউট করেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। পরের ওভারে নাইম শেখকে শূন্য রানে বিদায় দেন আলাউদ্দিন বাবু। ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে মুগ্ধ আবারও আঘাত হানেন, আনিসুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে পরপর দুই বলে আউট করে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন।
দলীয় মাত্র ১৬ রানের মাথায় ৫ উইকেট হারিয়ে মেট্রো চরম চাপে পড়ে। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন শামসুর রহমান শুভ। ১৩ রান করেন আবু হায়দার রনি। বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। ১৬.৩ ওভারে ৬২ রানে অলআউট হয় মেট্রো, যা স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ফাইনালের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। এর আগে ২০১৬ বিপিএল ফাইনালে রাজশাহী কিংস ১০৩ রানে অলআউট হয়ে এই রেকর্ডের মালিক ছিল।
রংপুরের রান তাড়া করাটাও সহজ ছিল না। ৩.৩ ওভারে ১৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে তারা। আবদুল্লাহ আল মামুন ২ রান করে আউট হন। রিজওয়ান ও নাইম ইসলাম রানের খাতা খুলতে পারেননি। অধিনায়ক আকবর আলীও শূন্য রানে রান আউট হয়ে ফেরেন। তবে তানবির হায়দার এবং আনাম হোসেন দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে জয় এনে দেন। তানবির ৮ রানে অপরাজিত থাকেন, আর আনাম ৯ বলে ১৪ রান করেন।
মুকিদুল ইসলাম ফাইনালের সেরা নির্বাচিত হন। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ১৯ উইকেট নিয়ে রংপুরের আলাউদ্দিন বাবু হন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। রানার্সআপ দলের অধিনায়ক নাইম শেখ ব্যাট হাতে ৩১৬ রান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন।
আ. দৈ./ সাধ