ঢাকা মেডিবকল কলেজ হাসপাতালে (ডিএমসিএইচ) চিকিৎসকদের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা এবং চিকিৎসকদের নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করাসহ ৪ দফা দাবিতে রাজধানীসহ সারা দেশে চিকিৎসাকেন্দ্রে জনগণের সেবা বন্ধের রয়েছে। চিকিৎসকদের এই কর্মসূচিকে বলছেন ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকের সামনে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন আবদুল আহাদ এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ওই সময় চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়রা উপস্থিত ছিলেন।তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সারা দেশে জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এই কর্মসূচির আওতাভুক্ত রয়েছে।
বহিরাগতরা গতকাল শনিবার (৩১ আগস্ট) দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হামলা চালিয়ে চিকিৎসকদের মারধর এবং ভাঙচুর করে। ওই হামলায় জড়িতদের বিচার, চিকৎিসক নার্স ও ওয়ার্ড বয়দের নিরাপত্তার দাবিতে রোববার সকাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকেরা। ওই ঘটনায় চিকিৎসকের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসেন। কিন্তু তাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি বলে জানান চিকিৎসকরা। এরপর তারা সারা দেশে কর্মবিরতির কর্মসূচির ঘোষণা করেন।
চিকিৎসকদের ৪ দফা দাবি;
জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে যেসব ব্যক্তি বা কুচক্রী মহল এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা। তাদেরকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে। এবং দ্রুত বিচার আইনের মাধ্যমে জড়িতদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হভে।
হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোকে নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করতে হবে। অবিলম্বে সারাদেশে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য পুলিশের (আমর্ড ফোর্স) মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিতের উদ্যোগ নিতে হবে।
হাসপাতালে রোগীর ভিজিটর (ভিজিটর কার্ডধারী) ছাড়া বহিরাগত কাউকে কোনোভাবেই ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। কর্তৃপক্ষকে এসব বিষয়গুলো স্বাস্থ্য পুলিশের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে।
হাসপাতালে রোগীর সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে চিকিৎসক, নার্স ও ওয়ার্ড বয়দের কোনো অবহেলা-অসংগতি পরিলক্ষিত হলে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ আকারে জানাতে হবে। অভিযোগের সততা পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করা যেতে পারে। কিন্তু এরআগে কোনোভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। এমনকি হাসপাতালের চিকিৎসার পরিবেশ নষ্টা করা যাবে না।
আ.দৈ. কাশেম