ঈদের ছুটি শেষ হলেও গত ১৮ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার পথঘাট অনেকটাই ফাঁকা ছিল। কিন্তু দুইদিন সাপ্তাহিক বন্ধের পর রোববার (২৩ জুন) অফিস-আদালত খুলে যাওয়ায় সকাল থেকে প্রায় সব সড়কেই গাড়ির জট দেখা গেছে। তবে সে জট বেশি স্থায়ী হয়নি। যে সকল রাস্তা নানা কারণে কাটা হয়েছে কেবল সেসব সড়কে কিছু সময় জ্যামে অপেক্ষা করতে হয়েছে।
ট্রাফিক বিভাগ বলছে, স্কুল খুলে গেলে জ্যাম আরও তীব্র হতে পারে। এদিকে সড়কে এখনো গণপরিবহন চোখে পড়েনি। ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, সকাল থেকে রাজধানীর বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিল, গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ি সড়ক, কাঁকরাইল, মালিবাগ- মৌচাক, রামপুরা বাড্ডা হয়ে বিশ্বরোড এবং শাহাবাগ, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, ধানমন্ডি, মিরপুর, শেওড়াপাড়া, বনানী, গুলশান- উত্তরা সড়কেও প্রচুর গাড়ির চাপ।
জানা গেছে, সকাল থেকেই সড়কে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত উভয় পর্যায়ের গাড়ির চাপ দেখা গেছে সড়কে। সকাল ৯টা থেকে গাড়ির চাপ শুরু হয়ে অফিস সময় পর্যন্ত থাকলেও দুপুরের দিকে প্রায় সকল সড়কই ফাঁকা দেখা গেছে। মতিঝিলে ৮ নম্বর বাসের চালক মনিরুল ইসলাম বলেন, এতদিনের ফাঁকা সড়কে গাড়ি চালানোর শান্তি শেষ। গাড়ির চাপ বাড়ায় আজ থেকে আবারও জ্যাম বেড়েছে। গুলিস্তানে ডিউটিরত ট্রাফিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, সকালে কিছুটা গাড়ির চাপ ছিল। দুপুরে মানে এখনো কম। এর কারণ স্কুল এখনো বন্ধ। ২৫ তারিখের দিকে হয়তো গাড়ির সংখ্যা বাড়বে সড়কে। কারণ মঙ্গলবার থেকে স্কুল খুলবে।
এদিকে ঈদের ছুটি পাঁচদিন আগে শেষ হলেও আজও ঢাকা ফিরছে মানুষ। ট্রেন, লঞ্চ, বাস সব স্টেশনেই ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। তবে সড়কে গাড়ির তীব্র চাপ না থাকায় অনেকে স্বস্তিতেই যাতায়াত করতে পারছেন। যশোর থেকে ট্রেনে আসা যাত্রী মাহমুদা খানম বলেন, তার স্বামী গত বুধবার সকালে ফিরেছেন। রোববার (২৩ জুন) তিনি বাচ্চাদের নিয়ে ফিরলেন। কিন্তু ঢাকাতে তেমন সমস্যা হয়নি। এদিকে যাত্রীদের একসাথে ঢাকামুখী হওয়ার কারণে বাস পাওয়া মুশকিল হচ্ছে জানা যায়।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হয়। এবার ঈদের তিনদিন ছুটি ছাড়াও দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে মোট পাঁচদিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়েছেন কর্মজীবীরা।
আ. দৈনিক/একে/এ আর