বগুড়ার ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম, এসআই মোহাম্মদ আলী ও এসআই অমিত হাসান মাহমুদের অপসারণ এবং ল্যাংটা বাবুকে গ্রেফতারের দাবিতে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত। আজ বৃহস্পতিবার (৭নভেম্বর) দুপুর ১২টায় উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের অলোয়া গ্রামবাসির আয়োজনে মথুরাপুর সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
গত ৩ অক্টোবর উপজেলার অলোয়া গ্রামের গরু ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন দুপচাচিয়া ধাপের হাটে গরু বিক্রি করে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে অলোয়া গ্রামের মুন্সি বটতলা এলাকায় পৌঁছলে তিনি ছিনতাইয়ের শিকার হন। এসময় ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ৬ অক্টোবর নিজাম উদ্দিন বাদি হয়ে ধুনট থানায় অলোয়া গ্রামের সাবানের ছেলে ল্যাংটা বাবুসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ দেন।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনাকে ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম, ও এসআই মোহাম্মদ আলী ও অমিত হাসান মাহমুদ চুরি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে। পরে ল্যাংটা বাবুর বাবা সাবান বাদি হয়ে কলেজছাত্র ও ব্যবসায়ীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মারপিটের মিথ্যা অভিযোগ দেন। থানা পুলিশ ল্যাংটা বাবুকে গ্রেফতার না করে নিরাপরাধ কলেজছাত্র ও এক ব্যবসায়ীকে মারপিটের মামলায় গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় আমরা ধুনট থানার ওসি ও দুই এসআইয়ের অপসারণের দাবি জানাই। একইসাথে এ ঘটনার সাথে জড়িত ল্যাংটা বাবুকে গ্রেফতারের দাবি জানাই।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাও. নজরুল ইলাম, ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী ডা. শাহ জালাল, ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক আমির আব্দুর রহিম সিকিম, এমপিএসটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আমিনুল ইসলাম মিস্টার, সমাজসেবক গোলাম রব্বনী, শাহজাহান আলী, হবিবর রহমান, ইসমাইল হোসেন, ইউছুফ আলী, লাইলি বেগম, রেনুকা পারভিন ও রুমি খাতুন। উক্ত মানববন্ধনে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার শতাধীক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, বিধিমোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসির অভিযোগ সঠিক না।
আ. দৈ./ কাশেম/ মিজান