বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গনে জনপ্রিয়তায় এক নজিরবিহীন রেকর্ড বিএনপিরে প্রতিষ্ঠা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান এবং তার সহধর্মনী সাবেক ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো, ১৯৮১ সালে ৩০ মে তৎকালীন মহান রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে পরিকল্পিতভাবে দেশী ও বিদেশী শত্রুরা হত্যা করেফেলে। ওই দিন সারাদেশের মানুষ অজোরে কেঁদেছেন।
কারণ শহীদ জিয়াউর রহমানের মতো এতো জনপ্রীয় দ্বিতয় আর নেই। তিনি দেশের মানুষকে ভালো বাসতেন। তিনি ইসলামী মূল্যবোধকে উচ্চতায় নিয়েগেছেন, দেশের উন্নয়ন ও জনকল্যানে রাজনৈতিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করা, শিক্ষার হার বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি দেশকে ক্ষুধা ও দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু দেশী বিদেশী শত্রুরা এই মহান নেতাকে সহ্য করতে পারেনি।
ষড়যন্ত্রকারীরা পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে রাতের আধারে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ব্রাশফায়ার করে শহীদ করেছে। ওই দিনের পর থেকে আজো দেশের মানুষ শহীদ জিয়া উর রহমানের জন্য নিরবে কাঁদেন। কিন্ত তার আদর্শ ও ন্যায় নিষ্ঠা বিএনপির নেতা/ কর্মীদের জন্য অনুপ্রেরনার উৎস হয়ে আছে। তবে বিএনপির অনেক নেতাই জিয়া উর রহমানের আদর্শের কথা মুখে বলেন, বাস্তবে সেটা করেন না।
কিন্ত জাতির প্রয়োজনে হতাশাগ্রস্ত জাতি এবং বিএনপির হাল ধরেন বর্তমানে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সারাজীবন তিনি দলের নেতা,কর্মী এবং দেশের মানুষের কল্যানে কাজ করেছেন। দেশের প্রয়োজনে রাজনীতে সক্রিয় থাকার পাশাপাশি আপোষহীন ভূমিকা রেখেছেন। এ কারণে তাকে জেল,জুলুমসহ অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। পতীত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার বেশ কিছু সাজানো ও মিথ্যে মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে ফাঁসানোর পাশাপাশি বিএনপিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। এই আপসোস শুরু হয়েছে দেশ বিদেশে বাংলাদেশীদের মাঝে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আজ হাসপাতালে মৃত্যুর সজ্জায়। এই মহয়সী নেত্রী বেগম জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় রাজধানীর গুলশানসহ দেশে, বিদেশে লাখ লাখ মানুষ দোয়া করছেন। বিভিন্ন রাজনৈতকি দলের নেতা/কর্মীরাও বেগম খালেদা জিয়ার জন্য বিশেষ দোয়া কর যাচ্ছেন। কারণ বেগম খালেদা জিয়া শুধু বিএনপির চেয়ারপারসন কিংবা বিএনপিরই সম্পদ নয়। তিনি বাংলাদেশের সবার অভিভাবক । তারমতো আর কোন নেতা/ নেত্রীকে আমরা পাবো কিনা জানি না।
এদিকে আজ মঙ্ঘলবার (০২ ডিসেম্বর) বাদ যোহর বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে নগর ভবন মসজিদে বিশেস দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিলেন ডিএনসিসি জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনয়নের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানের নির্দেশনায় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্ত্য রাখেন, শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন বুলেট।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহণ করে বক্তব্য রাখেন ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী ও সচিব মো. খয়বর রহমান। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ছিলেন, প্রধান সমাজ কল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ বরকত হায়াত ,আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোগাম্মদ জালাল উদ্দিন,আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মে. জিয়া উর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুলকার নায়ন,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর.) খন্দকার মাহবুব আলম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. রফিকুল ইসলাম, উপ প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. মফিজুর রহমান ভূঁইয়া, কর কর্মকর্তা মো.মিজানুর রহমান, কর কর্মকর্তা শেখ অহিদুজ্জামান, উপ কর কর্মকর্তা আবদুল খালেক মজুমদার, উপ কর কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলামসহ অনেক কর্মকর্তা এবং কর্মচারী।
এছাড়া অনুষ্ঠানে সংগঠনের সহ সভাপতি কাজী আলমগীর, সহ সভাপতি হারুন অর রশীদ, সহ সভাপতি মো. মমিন উল্লাহ, সহ সভাপতি মো. জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বদরুল আহসান রেজা (তারেক),যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. গাদ্দাফি হোসেন রবিন, দপ্তর সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন,সমাজ কল্যান ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. চাঁদ মিয়া,যুব ও ক্রীয়া সম্পাদক মো. মিন্টু মিয়াসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আ. দৈ./কাশেম