বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫,
২৯ কার্তিক ১৪৩২
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
বিশেষ সংবাদ
দুদকের ভেতরের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু হয়েছে
দুর্নীতির দায়ে দুদক পরিচালক মীজানুল সাময়িক বরখাস্ত
আবুল কাশেমঃ
Publish: Tuesday, 9 September, 2025, 7:39 AM  (ভিজিট : 165)

দুর্নীতি দমন কমিশনের  (দুদকের) ভেতরের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু হয়েছে।  দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের গোপন প্রতিবেদন এবং প্রাপ্ত সুনিদিষ্ট অভিযোগের তথ্য উপাত্ত্ব গোপনে যাচাই বাছাই ও অধিকতর বিশ্লেষণের পরই অভিযুক্ত দুদক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বরখাস্তসহ আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ হচ্ছে।  কারণ  দুদকে চাকরির সুবাদে বেশ কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী রাতারাতি বাড়ি,গাড়ি, একাদিক প্লট,ফ্ল্যাটসহ কোটিপতি হচ্ছেন।  দুদকের কতিপয় অসৎ কর্মকর্তা ক্ষমতার অপব্যবহার করে একদিকে নিজেরা বিপুল পরিমান অবৈধ সম্পদের মালিক হচ্ছেন। অপরদিকে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি বিরোধী এই তদন্ত সংস্থার মর্যাদা, ইমেজ ও সুনাম ভুলণ্ঠিত করছেন।  

অনেকদিন থেকেই দুদকের  কতিপয় অসৎ কর্মকর্তা পরিকল্পিতভাবে অনুসন্ধান ও তদন্ত চলাকালে চিহ্নিত অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী, রাস্ট্রের দুর্নীতিবাজ ও অভিযুক্তদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করছেন। তারা  অভিযুক্তদের নথি আটকে রেখে মাসের পর মাস সময় ক্ষেপন করেন।  আর দফায় দফায় নানা কৌশলে অভিযুক্তদের পক্ষে সাফাই গেয়ে দায়সারা প্রতিবেদন তৈরি করেন।  এই ধরনের বেশ কিছুর ঘটনা বর্তমান কমিশনের নজরে এসেছে বলে জানা যায়। 

দুদকের এক সময়ের কথিত প্রভাবশালী এবং দুর্নীতিগ্রস্ত সাবেক ও বর্তমান কয়েকডর্জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গোপনে তদন্ত চলছে।   এই বিষয়ে ইতিপূর্বে 'আজকের দৈনিক প্রতিকায়' প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।  ওই সংবাদ প্রকাশের পর দুদকের দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা ওকর্মচারীদের মাঝে প্রচন্ড আতঙ্ক বেড়ে যায়। শিগগিরই দুদকের দুর্নীতিগ্রস্ত আরো কয়জনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে খবর প্রকাশিত হচ্ছে।

দুদক সূত্র মতে, গতকাল সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) এমনই এক চাঞ্চল্যকর খবর বেরিয়ে এসেছে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক খান মো. মীজানুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্তের মেধ্যদিয়ে ।  দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়।  এর আগে গত রোববার ওই পরিচালককে বদলি করে দুদকের এনআইএস এবং উন্নয়ন সহযোগী ও সমন্বয় (দেশীয়) বিভাগের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।  এরআগে দুদক পরিচালক খান মো. মীজানুল ইসলামকে নিযে  সিনিয়র সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের ফেসবুক পোস্টে দুর্নীতি তথ্য তুলেধরা হয়।  এরপর পরিচালক খান মো. মীজানুল ইসলামকে বদলি করা হয়।  কিন্তু বদলির পরই কমিশনের সিদ্ধান্তে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ২৭ জানুয়ারি তিন বিমানবন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে আলাদা চারটি মামলা করে দুদক। এর মধ্যে দুই মামলার আসামির তালিকায় ছিলেন অ্যারনেস ইন্টারন্যাশনালের মালিক লুৎফুল্লাহ মাজেদ, এমডি মাহবুব আনাম।  আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১২০/১৬১/১৬৩/১৬৪/৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদকের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যেহেতু খান মো. মীজানুল ইসলামের বিরুদ্ধে কমিশনের অনুসন্ধান-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক ওই মাহাবুবুল আনাম।  তার কাছ থেকে দুদক কর্মকর্তা খান মো. মীজানুল ইসলাম অনৈতিকভাবে সুবিধা গ্রহণের একটি বিষয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিলক্ষিত হয়। এরপর কমিশনের নির্দেশে গোপন অনুসন্ধানে দেখা যায়, খান মো. মীজানুল ইসলাম গত ১৭ আগস্ট এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি গত ২০ আগস্ট চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নেন। কিন্তু চিকিৎসা বাবদ বকেয়া দুই লাখ ৪ হাজার ১৩২ টাকা তিনি নিজে পরিশোধ না করে হাসপাতাল থেকে চলে আসেন খান মো. মীজানুল ইসলাম।  কমিশনের অনুসন্ধান-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মাহাবুবুল আনামের গ্যারান্টির ভিত্তিতে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নেন। দুদক কর্মকর্তা খান মো. মীজানুল ইসলাম।

দুদক জানায়, অভিযোগের গুরুত্ব ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিবেচনায় গত ৪ সেপ্টেম্বর কমিশনের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটির ০৩/২০২৫ নং সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়। সভায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮ অনুসারে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ আদেশ জারির তারিখ থেকেই কার্যকর হবে। বরখাস্তকালীন তিনি প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী খোরাকি ভাতা পাবেন।

এর আগে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের গত ২ সেপ্টেম্বর খান মো. মীজানুল ইসলামের চিকিৎসা খরচ-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। সেই পোস্টে তিনি হাসপাতালের বিল পরিশোধের নথিপত্রও জুড়ে দিয়ে লেখেন, ‘প্রশ্ন হলো দুদকের মতো একটি সংস্থার পরিচালক, যার অধীন বিভাগ অনুসন্ধান করছে এমন এক ব্যক্তির কাছ থেকে এ ধরনের সুবিধা গ্রহণ করে থাকেন, তাহলে কি তা কোনোভাবে নৈতিক হতে পারে? আর যদি তা না হয়, তাহলে দুর্নীতি দমনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারাই যদি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দোসর হয়ে যায়, তখন কেন এদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না?’

৩ বিমান বন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পের ৮১২ কোটি টাকা কেলেঙ্কারি দুদকের মামলাঃ 
গত ২৭ জানুয়ারি  দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।   হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ তিন বিমানবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পের ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সাবেক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমানসহ ১৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৪টি মামলা করেছে দুদক। 

প্রথম মামলায় ২৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মোট ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।  তারা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক সিনিয়র সচিব মুহিবুল হক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব জনেন্দ্রনাথ সরকার, বেবিচকের সাবেক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেক, সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. হাবিবুর রহমান, অ্যারনেস ইন্টারন্যাশনালের মালিক লুৎফুল্লাহ মাজেদ, এমডি মাহবুব আনাম, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর সম্প্রসারণ (থার্ড টার্মিনাল) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এ কে এম মাকসুদুল ইসলাম ও সাবেক প্রধান প্রকৌশলী সুধেন্দু বিকাশ গোস্বামী।

এই মামলায় বিমান বন্দর সম্প্রসারণ (থার্ড টার্মিনাল) প্রকল্পের কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয় এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়াম (এডিসি) নামীয় একটি প্রতিষ্ঠানকে। উক্ত কাজের সঙ্গেও সাব কন্ট্রাক্টর হিসেবে অ্যারনেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটিডেকে সম্পৃক্ত করা হয়।  অনুসন্ধানকালে ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রাক্কলন প্রকল্পে অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ২১ হাজার কোটি টাকা করা হয়। এ প্রকল্প থেকে ক্রয় সংক্রান্ত বিধি-বিধান লঙ্ঘন করে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজের কাজসহ বিভিন্ন কাজে নিজেদের পছন্দের ঠিকাদারকে কার্যাদেশ প্রদান করে বেআইনিভাবে স্থানীয় এজেন্ট অ্যারনেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডকে উক্ত কাজে সম্পৃক্ত করে পরস্পর যোগসাজশে প্রকল্প থেকে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।

দুদকের দ্বিতীয় মামলায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক সিনিয়র সচিব মুহিবুল হক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব জনেন্দ্রনাথ সরকার, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেক, সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. হাবিবুর রহমান, সিএনএস মেইনটেন্যান্স বিভাগের পরিচালক আফরোজা নাসরিন সুলতানা, পরিচালক (পরিকল্পনা) এ কে এম মনজুর আহমেদ, অ্যারনেস ইন্টারন্যাশনালের মালিক লুৎফুল্লাহ মাজেদ ও এমডি মাহবুব আনামকে আসামি করা হয়েছে।

মোট ১০ জনকে আসামি করে দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ‌`Installation of RADAR with CNS – ATM (Communication, Navigation and Surveillance - Air Traffic Management' শিরোনামে রাডার নির্মাণকাজে অ্যারনেস ইন্টারন্যাশনালকে সম্পৃক্ত করা হয়। প্রকল্পের কাজে সর্বশেষ হিসাব অনুসারে ব্যয় করা হয়েছে ৭৩০ কোটি টাকা, যা বেবিচকের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হয়। যার মধ্যে পছন্দের ঠিকাদারকে কার্যাদেশ প্রদান করে বেআইনিভাবে স্থানীয় এজেন্ট অ্যারনেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডকে ব্যবহার করে ওই প্রকল্প থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন করেছেন আসামিরা।

দুদকের তৃতীয় মামলায় কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ও রানওয়ে নির্মাণকাজে ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।   ১০ আসামি হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক সিনিয়র সচিব মুহিবুল হক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব জনেন্দ্রনাথ সরকার, বেবিচক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেক, সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. হাবিবুর রহমান, অ্যারনেস ইন্টারন্যাশনালের মালিক লুৎফুল্লাহ মাজেদ, এমডি মাহবুব আনাম, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপসচিব মো. শফিকুল ইসলাম এবং কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন (প্রথম পর্যায়-৪র্থ সংশোধিত) প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মো. ইউনুস ভূইয়া।

কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ও রানওয়ে নির্মাণ সংক্রান্ত প্রকল্পের কাজে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে।  চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন (সিসিইসিসি) নামীয় একটি চায়না কোম্পানিকে প্রকল্পের কাজে কার্যাদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ অন্যান্যরা প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেন। ওই প্রকল্পের কাজে প্রচলিত ক্রয় প্রক্রিয়ার বিদ্যমান বিধান লঙ্ঘন কর অর্থছাড়করণ সংক্রান্ত বিধান ও অনুমোদন প্রক্রিয়ার ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে। নিজেদের পছন্দের ঠিকাদারকে কার্যাদেশ প্রদান করে বেআইনিভাবে স্থানীয় এজেন্ট অ্যারনেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সঙ্গে যোগসাজশে প্রকল্প হতে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে।

দুদকের চতুর্থ মামলায় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দুই হাজার কোটি টাকার নতুন টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ না করে অগ্রিম বিল হিসেবে ২১২ কোটি টাকা ছাড় করার অভিযোগে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মুহিবুল হকসহ অন্যান্যদের আসামি করা হয়েছে।  এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব জনেন্দ্রনাথ সরকার, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সাবেক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান, বেবিচকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেক, সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. হাবিবুর রহমান আসামি করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অ্যারনেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুল আনাম, পরিচালক লুৎফুল্লাহ মাজেদ, প্রকল্প পরিচালক মইদুর রহমান মো. মওদুদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপসচিব শাহ জুলফিকার হায়দার (বর্তমানে উপ সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়) এবং সাবেক যুগ্মসচিব মো. আনিছুর রহমানকে (বর্তমানে অতিরিক্ত সচিব) আসামি করা হয়েছে।

আ. দৈ./কাশেম




আপনার মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আনুষ্ঠানিক গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার
জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে: গোলাম পরওয়ার
প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ সদসের উচ্চকক্ষ, হ্যাঁ-না ভোটে সিদ্ধান্ত
শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
আরো খবর ⇒

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে গ্রেফতার হওয়া আ'লীগ নেতা ফারুক কারাগারে
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি আরিফ; সম্পাদক উবাইদা
রাজধানীতে ফায়ার সার্ভিসের গেটের পাশে বাসে অগ্নিকাণ্ড
দিল্লি হামলার বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি সঠিক নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
অপহ্নত ক্যামব্রিয়ান শিক্ষার্থী সুদীপ্তর লাশ উদ্ধার,গ্রেপ্তার-২
বিশেষ সংবাদ- এর আরো খবর
close
সম্পাদক ও প্রকাশক : কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ
নির্বাহী সম্পাদক : তৌহিদুর রহমান

ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ মাসুদ আলম
প্রকাশক কর্তৃক ১১/১/বি উত্তর কমলাপুর, মতিঝিল থেকে প্রকাশিত
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : সাগুফতা ডি লরেল (তৃতীয় তলা), কমলাপুর বাজার রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

ফোন : ০১৭১২-৫০১২৩৬, ০২-৫৮৩১৬১০৯ , ই-মেইল : ajkerdainik$gmail.com
About Us    Advertisement    Terms & Conditions    Privacy Policy    Copyright Policy    Circulation    Contact Us   
© ২০২৪ আজকের দৈনিক
🔝