রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫,
১২ শ্রাবণ ১৪৩২
ই-পেপার

রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
আইন-আদালত
রাজউকের প্লটসহ অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক
হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক কারাগারে
আবুল কাশেম :
Publish: Thursday, 24 July, 2025, 8:50 PM  (ভিজিট : 35)


বাংলাদেশের ইতিহাসে নজীরবিহীন রেকর্ড করেছেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজ্ঞাবাহক সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। বিচারকের দায়িত্বে থেকে পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত এক রায়ের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন। তার এক রায়েই দেশে ফ্যাসিবাদের জম্ম হয়েছে এবং গণতন্ত্র ধ্বসংশ হয়েছে। টানা ১৫ বছর শেথ হাসিনার স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দিয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। আওয়ামী লীগের একক আধিপত্য বিস্তারের ফলে সারাদেশে হত্যা.গুম,বিরোধী দলের ওপর জুলুম নির্যাতনের ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে।

এরপর তাকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যামামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডিবি কার্যালয় থেকে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে ঢাকা সিএমএম আদালত হাজির করা হয়। আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন।

সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি খায়রুল হক নিজে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে রাজউকের প্লট,ফ্ল্যাট,চিকিৎসার নামে অর্ধ কোটি টাকার সুবিধাসহ অনেক লাভবান হয়েছে । তিনি এক রায়ের মাধ্যমে শহীদ জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে এক কাপড়ে বের করে দিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। প্রধান বিচারপতি আসনে বসে অসাধুতার নগণ্য নজির স্থাপন করেছিলেন এ বি এম খায়রুল হক। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধসহ দুর্নীতি অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

এদিকে সর্বশেষ খবরে জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে ডিবি পুলিশ সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। এরপর তাকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যামামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডিবি কার্যালয় থেকে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে ঢাকা সিএমএম আদালত হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন।

জানা যায়, ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১১ সালের ১৭ মে পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির আসনে বসে দেশের বারোটা চাজিয়ে গেছেন তিনি। এ বি এম খায়রুল হকের এক রায়েই দেশের নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থাকে বাতিল করেন এবং আওয়ামী লীগের দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন করার সুযোগ করে দেন। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগকে  দীর্ঘদিন ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য যাবতীয় আয়োজন করা হয়। এ বি এম খায়রুল হকরে রায়ের পরই দেশে নির্বাচনী ব্যবসস্থা ধ্বংস হয়, সারাদেশে রাজনৈতিক অঙ্গণে সহিংসতায় অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে এবং  গণতন্ত্রকে হত্যার পাশাপাশি একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেছে। 

টানা ১৫ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্ত্বাধীন আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকার দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিনের ভোট রাতেই সম্পন্ন করার সুযোগ নিয়েছে। দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট এবং বিদেশে পাচারের নজির স্থাপন করেছে আওয়ামী সরকারের মনস্ত্রী. এমপি, দলীয় নেতা, ব্যবসাায়ী এবং কতিপয়  সরকারি চাকরিজীবীরা। 
জানা যায়, দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে এবিএম খায়রুল হক শপথ নেন ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। পরের বছর (২০১১ সাল) ১৭ মে ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় তিনি অবসর গ্রহণ করেন। 

গত বছর এবিএম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে বিচারক হিসেবে ‘দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলক’ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বেআইনি রায় প্রদান ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে দণ্ডবিধির ২১৯ ও ৪৬৬ ধারায় শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। সম্প্রতি সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। ‘দেশের বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের মূল কারিগর’ উল্লেখ করে তাকে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানায় সংগঠনটি। বিচারাঙ্গনে তুমুলভাবে আলোচিত-সমালোচিত এ বিচারপতির বেশ কয়েকটি রায় চরম বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। তিনি সরকারের পক্ষে রায় দিয়ে আওয়ামী লীগ আমলে নানাভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েছেন।

প্রধান বিচারপতি থাকাকালে ত্রাণ তহবিলের টাকায় নিজের চিকিৎসা করে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। অবসর নেওয়ার কয়েকদিন আগে তিনি ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেন। এতে দেশে রাজনৈতিক সংঘাতের পথ উন্মুক্ত হয়। পাশাপাশি শেখ হাসিনার ভোট ডাকাতির চূড়ান্ত সুযোগ তৈরি হয়। রাজনৈতিক একটি বিষয়কে আদালতের আওতাধীন করে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক নন বলে রায় দিয়েছিলেন এবিএম খায়রুল হক। এছাড়া বিতর্কিত একাধিক বিচারপতিকে শপথ পড়ানো, আগাম জামিনের এখতিয়ার কেড়ে নেওয়া, খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।

খায়রুল হকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর গত ১৮ আগস্ট ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য ইমরুল হাসান বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় খায়রুল হকের বিরুদ্ধে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পরিবর্তন ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে খায়রুল হক ছিলেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটলে ১৩ আগস্ট তিনি আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না।

 খায়রুল হকের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

সাবেক বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে প্লট জালিয়াতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেন মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। দুদক কর্মকর্তা বলেন, ২০০৩ সালে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন বিচারপতি খায়রুল হক। প্লট বরাদ্দের শর্ত মোতাবেক প্রথম কিস্তির সাড়ে ৬ লাখ টাকা পরিশোধ না করায় রাজউক বরাদ্দ বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তিনি পরবর্তীতে ২০০৯ সালে বিগত সরকারের সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে পুনরায় আইন ও বিধি বহির্ভূতভাবে প্লট হস্তান্তর গ্রহণ করেন। এখানে পুরো টাকা না দিয়ে ৬ বছর পূর্বের প্রথম কিস্তির টাকার চেক জমা দেন, যা নগদায়ন হয়নি। তারপরেও অবসর গ্রহণের পরে যাবতীয় পাওনা পরিশোধের শর্তে তাকে অবৈধভাবে প্লট হস্তান্তর করা হয়। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশনের অংশ হিসেবে রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এ বি এম খায়রুল হক কর্তৃক বিধি বহির্ভূতভাবে প্লট হস্তগত করার অভিযোগটি কমিশন কর্তৃক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

খায়রুল হকের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির চাই: জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘জাতি এখন সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের সুষ্ঠু বিচার এবং ন্যায্য/দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চায়। তার ক্ষেত্রে আমরা শুধু ন্যায়বিচারই প্রত্যাশা করি। ন্যায়বিচারেই তিনি ইতিহাসের শিক্ষণীয় শাস্তি পাওয়ার উপযুক্ত হবেন, এই আশাই রাখি। এ বি এম খায়রুল হকের ফ্যাসিস্ট আমলে প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে ছিলেন। তার হঠকারী রায়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক মাফিয়াদের হাতে গুম, খুন, লুণ্ঠনসহ সকল অপকর্মের লাইসেন্স ও হাতিয়ার তুলে দেয়া হয়েছিল।’

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে জামায়াত আমির এ কথা বলেন। জামায়াত আমির ফেসবুকে আরো লেখেন, ‘এই মর্যাদাপূর্ণ চেয়ারে বসে ইতোপূর্বে কেউ দেশ ও জাতির এত বড় ক্ষতি করেনি।বিচারপতি খাইরুল হক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেরিতে হলেও পাকড়াও করেছে। 

খায়রুল হককে দেশের বড় শত্রু: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক দেশেরে বড় শত্রু। খায়রুল হক দেশের বিশাল ক্ষতি করেছেন । তিনি বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারণ করার দায়িত্বে থেকে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। জনগণের সাথে প্রতারণা করেছেন, রাষ্ট্রের সাথে প্রতারণা করেছেন।‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে রায় দিয়েছিলেন এবং তার পরবর্তীকালে পূর্ণাঙ্গ যে রায় আকাশ আর পাতালের তফাৎ ছিল এবং তার রায় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গেছে’ জানিয়ে তিনি বলেন, তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি। যাতে ওই পদে বসে এ ধরনের কাজ করার কেউ সাহস না পায়।

আজ বৃহস্পতিবার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত কয়েকজন শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের সাথে স্বাক্ষাত শেষে গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসন অফিসে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সঠিকভাবে তদন্ত কওে খায়রুল হকে বিচার সম্পাদন করতে হবে।’ কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধানটা বাতিলকে পারমানেন্ট (স্থায়ী) করার ফলে পরবর্তীকালের দেশে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে এবং জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষের সবচেয়ে বড় আস্থার জায়গা ‘জুডিশিয়ারি। আস্থার জায়গাটাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছেন খায়রুল হক, শুধুমাত্র তার রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার কারণে।

জনতার আদালতে খায়রুল হকের বিচার চায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের কারণে আয়নাঘর তৈরি হয়েছিল। গণতন্ত্র ধ্বংস করে তিনি হাজার মানুষ হত্যার পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। তাই তার বিচার জনতার আদালতে হতে হবে। উম্মুক্ত আদালতে হতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোটে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন। একই দাবিতে আরো বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

 বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে এক কাপড়ে বের করে দিয়েছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক। বিচারিক অসাধুতার নগণ্য নজির স্থাপন করেছিলেন তিনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিনিময়ে বিচারপতি খায়রুল হক আইন কমিশনের চেয়ারম্যান পদ বাগিয়ে নিয়েছিলেন। খায়রুল হকের এমন বিচার করতে হবে যেন তাকে দেখে অন্য বিচারপতিরা সাবধান হয়ে যান।

দেশে গণতন্ত্র হত্যা এবং শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বানানোর মেইন আর্কিটেক্ট হলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি খায়রুল হক। তার এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত যাতে ভবিষ্যতে নতুন কোনো খায়রুল হক বিচারাঙ্গনে জন্ম না হয়। গত বছর এবিএম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে বিচারক হিসেবে ‘দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলক’ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বেআইনি রায় প্রদান ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে দণ্ডবিধির ২১৯ ও ৪৬৬ ধারায় শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। খায়রুল হকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন আইনজীবীরা। বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এক হত্যা মামলা ও দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা রয়েছে। তার বিচারিক জীবন ও পরবর্তী সময়ে নেওয়া পদক্ষেপগুলো দেশে বিতর্ক ও আলোচনা সৃষ্টি করেছে। তার রায়ের ফলে দেশে রাজনৈতিক হত্যা ও গুম করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে বিচারপতি তার চিকিৎসার জন্য ৩৯ লাখ টাকা নিয়েছিলেন।

আ. দৈ./কাশেম

আপনার মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

পানির জন্য পল্লবীতে বিহারীদের সড়ক অবরোধ
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ ও জেএসএস’র মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি
বড় মেয়ের পালিয়ে বিয়ের জেরে, ছোট মেয়েকে ৪ বছর ঘরবন্দি করে রাখলেন বাবা
সারাদেশে ইসির ৭১ কর্মকর্তা বদলি
যুক্তরাষ্ট্রে উড্ডয়নের আগেই বিমানে ধোঁয়া, নামিয়ে আনা হল যাত্রীদের
আরো খবর ⇒

জনপ্রিয় সংবাদ

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি : নিরাপত্তা ব্যবস্থার চরম ব্যর্থতা
গণপূর্তে আবার ইসকনের থাবা, অজন্তার তদ্বিরে দিশেহারা গণপূর্ত অধিদপ্তর
মাইলস্টোনের নিহত দুই শিক্ষক পাচ্ছেন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা
বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে: যুক্তরাষ্ট্র
নির্বাচনের আগেই লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আইন-আদালত- এর আরো খবর
close
সম্পাদক ও প্রকাশক : কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ
নির্বাহী সম্পাদক : তৌহিদুর রহমান

প্রকাশক কর্তৃক ১১/১/বি উত্তর কমলাপুর, মতিঝিল থেকে প্রকাশিত
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : সাগুফতা ডি লরেল (তৃতীয় তলা), কমলাপুর বাজার রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

মফস্বল সম্পাদক : ০১৭৭৫৮১৮২৭৫, ফোন : ০১৭১২-৫০১২৩৬, ০২-৫৮৩১৬১০৯ , ই-মেইল : ajkerdainik@gmail.com
About Us    Advertisement    Terms & Conditions    Privacy Policy    Copyright Policy    Circulation    Contact Us   
© ২০২৪ আজকের দৈনিক
🔝