ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অস্বাভাবিক ক্ষমতাবান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও তার স্ত্রী সালমা ওসমানের বিরুদ্ধে সাড়ে ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৪৫০ কোটি টাকার বেশি সন্দেহভাজন লেনদেনের সুনিদিষ্ট অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান ওসমান ও মেয়ে লাবীবা জোহার বিরুদ্ধেও বিপুল পরিমান অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় সম্পদের হিসেব চেয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে সাবেক এমপি শামীম ওসমান ও তার স্ত্রী সালমা ওসমানের বিরুদ্ধে মামলা দুটি দায়ের তথ্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুদকের সহকারী পরিচালক পিয়াম পাল ও মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। অন্যদিকে তাদের সন্তানদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) ধারা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারি করা হয়েছে।
দুদকের দায়ের করা প্রথম মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে জ্ঞাত আয়ের উৎসবিহীন ৬ কোটি ৬৭ লাখ ৫৩ হাজার ৬৮৯ টাকার সম্পদের মালিক হন এবং তা ভোগ দখলে রাখেন। এছাড়া তার নামে ৯টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৪৩৯ কোটি ৮২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৮০ টাকার লেনদেন পাওয়া গেছে। যা সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করেছে দুদক।
অপরদিকে তার স্ত্রী সালমা ওসমানের বিরুদ্ধেও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৩ কোটি ৯ লাখ ৭৫৭ টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া ব্যাংক হিসাবে থাকা ২৪ কোটি ৬৬ লাখ ৮৯ হাজার ১৩১ টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। যে কারণে তার বিরুদ্ধে অপর মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
আ. দৈ./কাশেম