টানা ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্ত্বধীন আওয়ামী সরকারের লোকজনের বিরুদ্ধে জুলুম,নির্যাতন,পরিকল্পিতভাবে গুম-হত্যা, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকসহ আর্থিক সেক্টর ধ্বংস করে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট এবং বিদেশে পাচারের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ক্রমেই বাড়ছে।তবে এসব প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থাগুলো সক্রিয় ভ’মিকা রাখেনি।
এমনকি সরকারের সমর্থিত প্রভাবশালীদের স্বার্থ রক্ষায় বেশি সক্রিয় ছিল। শুধু তাই নয়, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী,এমপি,নেতা, ব্যবসায়ি,চাকরিজীবী এবং প্রভাবশালী আমলাদের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি বিরোধী দল ও মতের লোকজনকে নানাভাবে ফাঁসানোর জন্য ক্ষেত্র বিশেষ দুদক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহ্নত হয়েছে। ফলে দুদক সরকারের আজ্ঞাবাহ দন্তহীন অর্ধমৃত বাঘ হিসেবে জিমিয়ে পড়েছিল।
কিন্তু গতবছর রাজধানীসহ সারাদেশে ছাত্র জনতার লাগাতার আন্দোলনের একপর্যায়ে গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে দিল্লীতে পালিয়ে যায় এবং তারা সরকারের পতন হয়। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, এমপি, নেতা ও আমলা সহ এক হাজারের বেশি প্রভাবশালী ব্যক্তি এবার দুদকের কারেন্ট জালে আটকেছে যাচ্ছে। গত এক বছরে শেখ হাসিনাসহ তরা সরকারের আমলের জালিয়াতি, অনিয়ম-দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে মোট ৩৯৯টি মামলা করেছে। আরো শতাধিক গুরুতর অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে, আগামী ডিসেম্বর নাগাদ আরো বেশকিছু মামলা দায়েরে হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ক্ষমতার অপব্যবহার, বড় বড় প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতি করে অর্থ আত্মসাৎ, অবৈধভাবে প্লট বরাদ্দ নেওয়া ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এসব মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি এবং দখলেরও অভিযোগ রয়েছে। আসামিদের কেউ কেউ টাকা পাচার করে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন ও কানাডায় একাধিক বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন, এমন অভিযোগেও মামলা হয়েছে।
শেয়ারবাজারে জালিয়াতি, প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের হাজার কোটি টাকা লোপাট, প্রভাব খাটিয়ে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে অনেকের বিরুদ্ধে। কারও কারও বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দখলের অভিযোগ রয়েছে। আসামিদের কেউ কেউ টাকা পাচার করে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন ও কানাডায় একাধিক বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন, এমন অভিযোগেও মামলা হয়েছে।
দুদকের তথ্যমতে , গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ১২ মাসে ৭৬৮টি অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। এ সময় মামলা হয়েছে ৩৯৯টি। সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগে। তদন্ত শেষে ৩২১টি মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে ৭১টি মামলা হয়েছে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। তবে অনিয়ম-দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে একই সময়ে সবচেয়ে বেশি মামলা (১৪৪টি) হয়েছে বিগত সরকারের প্রভাবশালী আমলা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ৪৪ জন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে।রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় থাকলে দুদক সক্রিয় থাকে না, সেই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
নাম না প্রকাশের শর্তে দুদকের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, সঠিকভাবে অনুসন্ধান না করে তাড়াহুড়া করে মামলা করতে গিয়ে কিছু ভুলও হয়েছে। এসব ভুলের কারণে অপরাধ প্রমাণ করতে বেগ পেতে হতে পারে। আরো ভালোভাবে অনুসন্ধানের পর মামলা করলে অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করা যাবে। দলীয় সরকারের ইচ্ছার বাইরে কোনো দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করা কঠিন। এসব অভিযোগ দীর্ঘদিনের, আগের সরকারগুলো দুদককে নিজেদের ‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করেছে। দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধান শুরুর আগে সরকারের ‘সবুজসংকেত’ লাগত। বড় কোনো ঘটনার খবর গণমাধ্যমে এলে লোকদেখানো অনুসন্ধান শুরু হলেও বেশির ভাগ সময়ই তা আর এগিয়ে নেওয়া হতো না। এমনকি দুর্নীতির পর্যাপ্ত প্রমাণ থাকার পরও অনেককে দায়মুক্ত ঘোষণা করার উদাহরণও রয়েছে। বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছেন, তাদের বিরুদ্ধেও যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই অনুসন্ধান করা হবে। শুধু রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে কেউ অভিযুক্ত হবেন না। আমরা প্রমাণ ভিত্তিক কাজ করা হচ্ছে।
দুদক চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন:
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দুদক ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে। বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর চেষ্টায় গতি আনতে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে লন্ডন সফর করেন দুদক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। গত ১৬ জুন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এখন যাঁরা ক্ষমতায় আছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও যদি স্পেসিফিক (সুনির্দিষ্ট) অভিযোগ আসে, আমরা অবশ্যই অনুসন্ধান করব। শুধু রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে কেউ অভিযুক্ত হবেন না। আমরা প্রমাণভিত্তিক কাজ করি।’ শেখ পরিবারের দুর্নীতি প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর নির্বাচনী হলফনামায় যে সম্পদের বিবরণ দিয়েছেন, তা আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি। তিনি অনেকাংশেই সম্পদের বিবরণে তথ্য গোপন রেখেছেন। শেখ হাসিনা ও তাঁর সন্তান এবং বোনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরও দু-একটি মামলা অনুসন্ধানে রয়েছে।’
হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা : শেখ হাসিনা ও তাার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে আলাদা কমিটি করেছে দুদক। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা ও তাদের পরিবারের নামে বরাদ্দ নেওয়া প্লটের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তথ্য গোপন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করা হয়। ৬ট মামলাতেই দুদক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে। মামলাগুলো এখন আদালতে বিচারাধীন।
১০ কাঠা করে মোট ২০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গত ১৪ জানুয়ারি দুটি মামলা করা হয়। একই অভিযোগে শেখ রেহানা এবং তার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক (রূপন্তী) ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের (ববি) বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয়। এই তিন মামলায় রেহানার আরেক মেয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে। একটি আবাসন প্রতিষ্ঠান থেকে ‘ঘুষ’ হিসেবে ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগে টিউলিপের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে। মামলাটি এখন তদন্তাধীন।
শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালকের পদ নেওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে ব্যাংকের করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) ফান্ডের প্রায় ৩৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আরেকটি মামলা হয়েছে। এই দুটি মামলা তদন্তাধীন। এ ছাড়া সূচনা ফাউন্ডেশনের কর ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে মামলার সুপারিশ করা হয়েছে।
রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দর, যশোর ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উন্নয়ন প্রকল্পের নামে দুর্নীতি ও সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের তিনটি বিমানবন্দরের চার প্রকল্পে ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। পাশাপাশি গাজীপুরে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বাগানবাড়ি নিয়েও অনুসন্ধান চলছে। শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বেপজা, বেজার আটটি প্রকল্পসহ বড় বড় প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগেরও অনুসন্ধান করছে দুদক। দুদক বলছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান, দেশের বিভিন্ন স্থানে ম্যুরাল স্থাপন ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুর্নীতি ও গুলিস্তানের মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সে দোকান বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ নিয়েও তারা কাজ করছে এবং দেশের বাইরে কেম্যান আইল্যান্ডে ৩০ কোটি ডলার পাচারের অভিযোগে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে।দুদকের কর্মকর্তারা জানান, জব্দের আদেশ দেওয়া সম্পদের মূল্য প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। দেশে ও বিদেশে এসব সম্পত্তি রয়েছে। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মোট ৫৮০টি বাড়ির খোঁজ পেয়েছে দুদক। এর মধ্যে ৩৪৩টি যুক্তরাজ্যে, ২২৮টি সংযুক্ত আরব আমিরাতে (এইউই) এবং ৯টি যুক্তরাষ্ট্রে।
অবৈধ সম্পদ জব্দ:
গত সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ী ও সরকারি চাকরিজীবীরা দেশ-বিদেশে বিপুল সম্পদ গড়েছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। এসব সম্পদ এখন তারা বেচে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেকেই বিদেশ থেকে বাংলাদেশে তাদের সম্পত্তি বিক্রি করতে কাউকে কাউকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিচ্ছেন বলে দুদক জানতে পেরেছে।মামলার তদন্ত ও বিচার শেষ হওয়ার আগে যাতে এসব অবৈধ সম্পদ কেউ বেচতে না পারেন, সে জন্য সম্পদ জব্দ করে রাখায় তৎপর দুদক। গত বছরের জুলাই থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জব্দসংক্রান্ত ৭৪টি আদেশ দিয়েছেন।
১৬ জুন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান (সানভীর) ও কো-চেয়ারম্যান সাদাত সোবহানের সম্পদ জব্দ করতে যুক্তরাজ্যে চিঠি দিয়েছে দুদক। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আদনান ইমামের সম্পদ জব্দেও যুক্তরাজ্যের এনসিএকে চিঠি দিয়েছে দুদক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও তাঁর স্ত্রী শাহিন সিদ্দিকের বাগানবাড়ি, ফ্ল্যাট ও বিপুল জমির খোঁজ পেয়েছে দুদক। ২৪ বিঘা জমি এবং ৪টি ফ্ল্যাট ও ১টি ফ্ল্যাটের একাংশ আদালতের আদেশে জব্দ করেছে দুদক।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে থাকায় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করার কারণে এটা (মামলা ও সম্পদ জব্দ) সম্ভব হয়েছে। তবে তদন্তের দুর্বলতার কারণে অপরাধ প্রমাণে সমস্যা যেন না হয়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। আর রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় থাকলে দুদক যে সক্রিয় থাকে না, সেই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
আ. দৈ./কাশেম