নগরবাসীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান (ডেঙ্গু) এডিস মশামুক্ত রাখতে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে চিকিৎসক ও নার্সসহ মশক নিধন কর্মীদেরও দক্ষতা বাড়াতে কয়েক দফায় বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালন বাজেট ২০২৪- ২৫ অর্থ বছরে আবর্তক অনুদান খাতের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমের ডেঙ্গু রোগী ব্যবস্থাপনা কাজে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও নার্সগনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় বলে জান যায়।
ঢাকা উত্তর সিটির উদ্যোগে গত ১৭-১৮ জুন এবং ২৪- ২৫ জুন পর্যন্ত ২ ব্যাচে দুই দিন ব্যাপী প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমে ডেঙ্গু রোগী ব্যবস্থাপনা কাজে ১১২ জন ফিজিশিয়ান, ৩৬ জন নার্সসহ মোট ১৪৮ জনকে গুলশানে নগর ভবনে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই প্রশিক্ষন কার্যক্রমের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অ:দা:) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসাবে ছিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ, জাতীয় প্রশিক্ষকবৃন্দ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা উত্তর সিটির স্বাস্থ্য ও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাঠ পর্যায়ে ঢাকা উত্তর সিটিতে ১০টি অঞ্চলের ৫৪টি ওয়ার্ডে গত ১৭-২৫ জুন পর্যন্ত মোট ৬৪ জন মশক সুপারভাইজার ও ১ হাজার ৪৭ জন মশককর্মীকে ২ দিন ব্যাপী ১০ টি ব্যাচে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। সিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, কীট তত্ত্ববিদ, জাতীয় প্রশিক্ষকবৃন্দ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, ডিএনসিসি'র
কীট তত্ত্ববিদ, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ প্রশিক্ষক হিসাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
প্রশিক্ষণের প্রথমদিন কর্মীদের তাত্ত্বিক ও সার্ভিল্যান্স বিষয়ে এবং ২য় দিন মশক নিধনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির পরিচিতি ও হাতে কলমে মাঠপর্যায়ে মশক সুপারভাইজার ও মশককর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। নগর কেন্দ্রিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সংক্রামক ব্যধি ডেঙ্গু প্রতিরোধে এ ধরনের প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটি পরবর্তীতে স্কুল/ কলেজ ভবন এবং আঙ্গিনায় "Clean School, No Mosquito" মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা প্রসঙ্গে।
এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ( ডিএনসিসি) ১০ টি অঞ্চলের ৫৪টি ওয়ার্ডে গত ১৬ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত একযোগে স্কুল আঙ্গিনা পরিষ্কার ও মশক নিধন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে "Clean school, No Mosquito" প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হয়। উক্ত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৫৪টি ওয়ার্ডের ৯১৫ টি স্কুল ও কলেজ এবং ২২০ টি মাদ্রাসা মোট ১১৩৫ টি প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও বর্জ্য বিভাগের সমন্বয়ের আঙিনার বর্জ্য অপসারণ, সোর্স রিমুভাল, নোভালিউরন ট্যাবলেট প্রয়োগ, লার্ভিসাইডিং ও ফগিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
নগরবাসীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য ডিএনসিসির পক্ষ থেকে মশক নিধন কার্যক্রম "Clean school, No Mosquito" পরিচালনা করা হয়। সরে জমিন কাজ করতে গিয়ে দেখা যায়, ঈদুল আযহার ছুটিতে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান অপরিস্কা ছিল। সবচেয়ে বেশি লার্ভার সোর্স হিসেবে পাওয়া যায় ফুলের টব, কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ জানায় বর্ষা মৌসুম এবং ছুটিতে প্রতিষ্ঠানের জনবল স্বল্পতা।
আ. দৈ./কাশেম