খুনি হাসিনা বাংলাদেশ মানুষের রক্ত নিয়ে খেলা করতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল ধোপাকান্দি সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ঐতিহাসিক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এতো মানুষকে আওয়ামীলীগ হত্যা করেও অনুতপ্ত হয়নি। আমরা গণতন্ত্রের বিশ্বাসী আমরা জনগণের ভোট নিয়েই নির্বাচিত হতে চাই।
বিদেশে বসে শুনেছিলাম খুনি হাসিনা আমার সিরাজগঞ্জের রাজনীতি চিরতরে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলো। তাই আমাকে জেলে ঢুকাতে চেয়েছিলো। কিন্তু হাসিনার জেল আমি মানি নাই। বিদেশে বসে থেকেও আন্দোলন পরিচালনা করার চেষ্টা করেছি।
তিনি জুলাই-আগস্টে শহীদের স্মরণ করে বলেন, কৃতজ্ঞতা জানাই শহীদ সাইন, শহীদ মুগ্ধ দেশের ২ হাজার শহীদের। তাদের রক্তের জন্য এ দেশ মুক্ত হয়েছে। কামারখন্দ মিটিং করা এক সময় স্বপ্ন ছিলো কিন্তু এই শহীদদের জন্য এটা সম্ভব হয়েছে।
আওয়ামীলীগের উদ্দেশ্যে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আওয়ামীলীগ মানুষ না এরা হায়েনা। আমাদের বিএনপির এমন কোন লোক নাই জেলে যায় নাই। এমন কোন বিএনপি নেতা নেই নির্যাতনের শিকার হয় নাই। আমরা বিএনপি কোনদিন পালাই নাই।
শহীদ জিয়া গণতন্ত্রের বিশ্বাস করতেন। তিনি সবাইকে গণতন্ত্রের অধিকার দিয়েছিলো। কিন্তু খুনি হাসিনা এদেশের মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন করেছে। খুনি হাসিনার বাবা শেখ মুজিবের ১৯৭১-৭৫ পর্যন্ত যা ঘটেছিলো তার চেয়ে বেশি খুনি হাসিনা এদেশের মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন করেছে। এদেশ থেকে খুনি হাসিনা ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। তাহলে দেশে কি থাকে?
আলাহ বিচার, আলাহ মাইর দুনীয়ার বাইর। হাসিনা এমনভাবে কথা বলত যে, সে নিজেই আলাহ! এজন্য আলাহ দেখিয়ে দিয়েছে। দুপুরের খাবারও তিনি খেতে পারেনি।
তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের দলেও মধ্যে যদি আওয়ামীলীগ ঢুকে বা কেউ ঢুকাই এটা যদি প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হিন্দুদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি হিন্দু ভাইদের বলতে চাই। হাসিনার ট্র্যাপে পা দিবেন না। এখন যে আওয়ামী হিন্দু মিছিল করছে আসলে এরা হিন্দু না। এরা আওয়ামীলীগ এরা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। এজন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আওয়ামীলীগ কিন্তু বসে নাই। যুদ্ধ কিন্তু শেষ হয় নাই। আমার বাবা সিরাজগঞ্জের মানুষের গোলাম ছিলো আমিও আপনাদের গোলাম। আমি আপনাদের সেবা করে মরে যেতে চাই।
কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদিউজ্জামান ফেরদৌসের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) আমিরুল ইসলাম খান আলীম।
কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাতে রাব্বি উথানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সিরাজগঞ্জ সদর– কামারখন্দ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুলাহ আল কায়েস প্রমুখ।
আ. দৈ. /কাশেম /আশরাফ