বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সকল শহীদ এবং আহতদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, এক্ষেত্রে তাদের জন্য গঠিত জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অফিস স্থাপনের পর কাজগুলো করা সহজ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সাথে তার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মিরাজ হোসেন ও মো: ইসমাইল হোসেন রাব্বির পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে শহীদ মিরাজের বাবা তার ছেলের ৫ আগস্ট মৃত্যুর বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি তার ছেলের রক্তমাখা শার্ট উপদেষ্টাকে দেখালে অফিস কক্ষে আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় উপদেষ্টা মিরাজের বাবাকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেন।
শহীদ ইসমাইল হোসেন রাব্বির বোন তার ভাইয়ের ময়নাতদন্ত না করার অনুরোধ করে বলেন, তারা মামলা করতে চান। কিন্তু হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর সনদ না পাওয়ায় তারা মামলা করতে পারছেন না। তারা তার ভাইয়ের নাম শহীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ সময় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম তাদের যেকোনো বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আ. দৈ. / কাশেম