আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গাজীপুরের টঙ্গীতে তা'মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিলে অংশ নেন। শনিবার (১০ মে ) দিবাগত রাত ১১টা ২০ মিনিটে মাদ্রাসার শহীদ নাসির গেট থেকে মিছিলটি বের হয়ে তা'মীরুল ট্রাস্ট এলাকা প্রদক্ষিণ করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেয়। পরে হোসেন মার্কেট হয়ে এশিয়া পাম্প এলাকায় এসে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে মিছিলটি শেষ হয়।
মিছিলে হাজারো শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা অংশগ্রহণ করেন। ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘ঈদ মোবারক’, ‘এইমাত্র খবর এলো—আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলো’ এমন নানা স্লোগানে গোটা এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে তা'মীরুল মিল্লাত কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের জিএস সাইদুল ইসলাম বলেন, “আজকের রাত ইতিহাসে লেখা থাকবে। আমরা দেখেছি কিভাবে গণতন্ত্রের নামে একদলীয় দুঃশাসন চলিয়েছে আওয়ামীলীগ বছরের পর বছর। আজ সেই অন্যায়ের বিচার শুরুর প্রথম ধাপ সম্পন্ন হলো। আমরা এ ঘোষণাকে সাধুবাদ জানাই।”
টাকসুর এজিএস মইনুল ইসলাম বলেন, “এটি কেবল একটি নিষেধাজ্ঞা নয়, বরং একটি বার্তা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে দেশবাসী আর চুপ থাকবে না। ছাত্রসমাজ বরাবরের মতো এবারও অগ্রভাগে রয়েছে। আমরা মুজিবীয় অপশাসনের চূড়ান্ত পতন দেখতে চাই।”
গাজীপুর সিটির ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট শাহিন মোল্লা বলেন, “আমরা আইনের শাসন চাই। আদালতের মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন চূড়ান্তভাবে বাস্তবায়িত হবে। যারা দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে, তাদের বিচারের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হচ্ছে। আগামী দিনগুলোতে সোচ্চার থাকতে হবে সবাইকে যেন এই নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগ কোন বিশৃঙ্খলা না করতে পারে।
মিছিলে অংশ নেয়া কামিল প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মাহিন ইউনুস বলেন, “আমরা অনেক দিন ধরে এই খুনি দল নিষিদ্ধের জন্য রাজপথে সংগ্রাম করে যাচ্ছি। তবে আজকে যেন মনে হচ্ছে, আলোর একটি রেখা দেখতে পাচ্ছি। আমরা এ রায়কে স্বাগত জানাই।”
স্থানীয় বাসিন্দা মিছিলে অংশগ্রহণকারী আলমগীর হোসেন বলেন, “আমি রাজনীতির লোক না, কিন্তু এই দল কীভাবে দেশটাকে ধ্বংস করেছে, সেটা চোখে দেখেছি। আজ মনে হচ্ছে, নতুন কিছু হতে চলেছে।”
আ. দৈ. / কাশেম