অনেক নাটকীয়তার পর বহুল আলোচিত ঘটনা, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার (৯ মে) দুপুর আড়াইটায় কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোছা. কাওয়ালিন নাহার গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, গতকাল দুপুর ২টার দিকে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে।
এরআগে বিপুল সংখক মহিলা পুলিশের সহযোগিতায় শুক্রবার ভোরে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত চুনকা কুটির থেকে আইভীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সকাল ১০টায় সেলিনা হায়াৎ আইভীকে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনউদ্দিন কাদিরের আদালতে উপস্থিত করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশে দেন।
এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সিদ্ধিরগঞ্জে পোশাক শ্রমিক মিনারুল হত্যা মামলায় তাকে নারায়নগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঈনুদ্দিন কাদিরের আদালতে হাজির করা হয়। পওে ওই আদালত তাকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান গণমাধ্যমকে বলেন, ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে কোনো রিমান্ড আবেদন করেনি পুলিশ। জামিনও চাওয়া হয়নি। তাকে তোলা হলে আদালত হত্যা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে আইভীকে গ্রেপ্তারের জন্য গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার পৈতৃক বাড়ি ‘চুনকা কুটিরে’ যায় সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল। পুলিশের এ অভিযানের খবরে তখনই সড়কে নেমে আসেন স্থানীয় কয়েক হাজার মানুষ। তারা ‘রাতের আঁধারে’ আইভীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যেতে দেবেন না বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা রাতভর অপেক্ষার পর সকাল পৌনে ৬টার দিকে শহরের দেওভোগের বাসা থেকে বেরিয়ে পুলিশের গাড়িতে ওঠেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের টানা তিনবারের নির্বাচিত মেয়র। পরে পুলিশের গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময়ও হাজারো নারী-পুরুষ তার পক্ষে স্লোগান দেন।
আ. দৈ./কাশেম