দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ।রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংসদ ভবনের এলডি হলে গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।
বৈঠকের শুরুতে আলী রীয়াজ বলেন, পুঞ্জিভূত সংকট উত্তরণে সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন দিয়েছে। যে ঐক্যের মাধ্যমে ফ্যাদিবাদের পতন ঘটেছে, সেই ঐক্য বজায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, পরবর্তী প্রজন্ম এবং নতুন বাংলাদেশের জন্য এই প্রচেষ্টা। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এই আশাবাদ।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে যারা প্রাণ দিয়েছেন, লড়াই করেছেন, যারা আহত-নিহত হয়েছেন, তারও আগে গত ১৬ বছর ধরে সমস্ত রকম জুলুম নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করেছন, গত ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্র, সবার অংশগ্রহণমূলক রাষ্ট্র, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার মতো রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন, তাদের সবার কাছে আমাদের দায়।
সংস্কারের বিষয়ে সংলাপকে আলোচনার অগ্রগতি উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, আমরা সামান্য হলেও অগ্রগতি অর্জন করতে পেরেছি। সেটা ধরে রাখতে না পারলে, বিকশিত করতে না পারলে সমস্ত সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাবে। সেটা যাতে না হয়, সে জন্য সবার প্রচেষ্টা।
তিনি বলেন, আমরা একত্রিতভাবে অর্জনের চেষ্টা করছি। যে অর্জন শুধু আমাদের জন্য নয়, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন গণতান্ত্রিক জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র তৈরি করার জন্য।
এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেন, অংশীজনদের ঐকমত্যের বিষয়গুলোই জুলাই সনদ হিসেবে গৃহীত হবে। দ্বিমত থাকা বিষয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে।
ঐকমত্যের মধ্য দিয়েই গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে বাংলাদেশ হাঁটবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম ধাপের আলোচনায় বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ অন্য দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে ঐকমত্য কমিশন। রোববার গণসংহতি আন্দোলনের পর বিকেলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সঙ্গে সংলাপে বসবে ঐকমত্য কমিশন।