নারী নির্যাতন বন্ধে দেশের বিদ্যমান আইনের সংশোধন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল্লামা মামুনুল হক।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে পর্যটন ভবনে কমিটি ফর অলটারনেটিভ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (সিএডিএফ) আয়োজনে ‘সামাজিক সংহতি: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আল্লামা মামুনুল হক বলেন, মানুষের মনমানসিকতা পরিবর্তন প্রয়োজন। দেশে আইনের যথাযথ প্রয়োগ প্রয়োজন। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের আইনের সংশোধনের প্রয়োজন। দেশে নারী নির্যাতনের অপরাধ রোধে যেসব আইন রয়েছে, তা যথাযথ এবং পরিপূর্ণ নয়। এজন্য আইনের সুন্দর প্রয়োগের জন্য সংশোধন এবং বাস্তবায়ন প্রয়োজন। তাতে নারী নির্যাতন রোধ করা যাবে।
তিনি বলেন, নারী নির্যাতন বন্ধে শুধু আইনের সংশোধন নয়, সেইসঙ্গে সমাজে ধর্মীয় অনুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। আমি শুধু ইসলামী অনুশাসনের কথা বলছি না, সকল ধর্মের যে বক্তব্য রয়েছে, নারীর শালীনতা রক্ষা করা। নারীর শালীনতা এবং স্বাধীনতা রক্ষা করে চলাফেরা করা। আমরা সেটা বাস্তবায়ন করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, নারীর প্রতি সমাজের যে, দায়িত্ব ও কর্তব্য, একজন পিতা থেকে শুরু করে একজন ভাই এবং শিশু পর্যন্ত। সবাই যদি নারীর প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে নারীর প্রতি সহিংসতা এবং নারীর প্রতি ভয়াবহ নির্যাতনের রোগ থেকে আমরা উত্তরণ হতে পারবো।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা তপন চৌধুরী, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল্লামা মামুনুল হক ও আর্চ বিশপ ক্যাথলিক বিজয় এন ডিক্রুজ উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু মহাজোটের গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয় মহাথেরো প্রমুখ।