নিজ দেশের ভূখণ্ডের বেসামরিক স্থাপনায় ‘বোমা’ ফেলেছে ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ)। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের শিবপুরী জেলায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রাথমিক খবরে এমনটা বলা হলেও পরে জানা যায়, বোমা নয় ওই ভারী বস্তুটি একটি ড্রপ ট্যাংক (যুদ্ধবিমানের অতিরিক্ত জ্বালানি ট্যাংক)।
ড্রপ ট্যাংকের আঘাতে ওই বাড়ির কয়েকটি ঘর, আসবাব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং একটি গাড়ি ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। ড্রপ ট্যাংকটি পড়ার পর আশপাশের বাড়িও কেঁপে ওঠে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) হিন্দুস্তান টাইমসসহ ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এসব প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে মনোজ সাগর নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি জেট থেকে ভারী ধাতব বস্তু পড়ে। এতে ওই বাড়ির বাইরের দুটি কক্ষ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শিবপুরীর পুলিশ সুপার আমান সিং রাঠোর জানিয়েছেন, বাড়িতে চারজন সদস্য ছিলেন, কেউ হতাহত হননি। পুলিশ ও প্রশাসনের দল ঘটনাস্থলে রয়েছে।
তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে আইএএফ জানিয়েছে, ‘অসাবধানতাবশত’ এমনটি হয়েছে। এমন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এক্স-এর একটি পোস্টে আইএএফ জানিয়েছে, আজ শিবপুরীর কাছে বিমান থেকে একটি ‘নন-এক্সপ্লোসিভ এরিয়াল স্টোর’ অসাবধানতাবশত পড়ে যাওয়ায় স্থলভাগে সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। এজন্য দুঃখ প্রকাশ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আইএএফ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে শিক্ষক মনোজ সাগরের বাড়ির ছাদে একটি ভারী বস্তু পড়ে। সাগর তার সন্তানদের নিয়ে ঘরে খাবার খাচ্ছিলেন। তার স্ত্রী রান্নাঘরে ছিলেন। এ অবস্থায় বিকট বিস্ফোরণে ছাদটি ফেটে যায় এবং উঠানে প্রায় ১০ ফুট গভীর একটি গর্ত তৈরি হয়।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিবপুরী জেলার পিছোর শহরে একটি বাড়ির ওপর পড়ে ভারী বস্তুটি। এতে ওই বাড়ি দুটি কক্ষ সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ধ্বংসাবশেষ কাছাকাছি পার্ক করা একটি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণের ফলে আশপাশের বাড়িগুলোও কেঁপে ওঠে। ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাটি ঘেরাও করে রেখেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে নিয়ে সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) প্রশান্ত শর্মা বলেন, ‘বস্তুটি কোথা থেকে এসেছে তা তদন্তের পরেই নিশ্চিত হওয়া যাবে। আছড়ে পড়া বস্তুটি অত্যন্ত শক্ত। এটা আগুনে পুড়েছে বলেও মনে হচ্ছে, পোড়ার চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনার পর গোয়ালিয়র বিমানঘাঁটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।