নারী সংস্কার কমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রকাশ্যে বিচারের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। আজ শনিবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ভারতে ওয়াকফ আইনের নামে মুসলিম নির্মূলের চক্রান্তের প্রতিবাদ এবং ‘নারী সংস্কার কমিশন’ বাতিলের দাবিতে গণমিছিল পূর্ব-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।
ফয়জুল করীম বলেন, ‘নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিটি পৃষ্ঠায় ধর্মের অবমাননা করা হয়েছে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ঢাকায় তাদের প্রকাশ্যে বিচার করতে হবে। যেন ভবিষ্যতে কেউ এমন প্রস্তাব দেওয়ার সাহস না পান। নারী সংস্কার কমিশনের নামে ইসলাম অবমাননার এই প্রস্তাব মানা তো দূরের কথা, এ প্রস্তাব দেওয়ার সাহস কোথায় পেয়েছে, সরকারের কাছে জানতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘সংস্কারের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে ইসলামী আন্দোলন। সরকার যাতে এর জন্য বেশি সময় পায়, আমরা সে সুযোগ দিয়েছি। অথচ মনে হচ্ছে, সরকারের ‘‘সুখে থাকতে ভূতে কিলায়’’।’
সরকারকে হুঁশিয়ার করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এ নেতা বলেন, ‘এ দেশের মানুষ ধর্মের বিরুদ্ধে কোনো কিছু মেনে নেবে না। ধর্মের বিপক্ষে গিয়ে মানুষের পুরো শরীরকে স্বর্ণ দিয়ে বাঁধাই করে দিলেও এ দেশের মানুষ মানবে না। শেখ হাসিনা মেট্রোরেল ও পদ্মাসেতু করলেও তার কথা মানুষ মনে আনে না। তাই এ বিষয়ে সাবধান হয়ে যান। আমরা আপনার প্রশংসা করি বলে অন্যায় করলে বদনাম করতেও সময় নেব না।’
ফয়জুল করীম বলেন, ‘ড. ইউনূসকে একবার বলেছিলাম- কোনো অবস্থাতেই পাশ্চাত্য সংস্কৃতি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেবেন না। তখন তিনি হাসি দিয়ে বলেছিলেন, এমনটি কখনো হবে না। অথচ আজকে আমাদের মা-বোনদের পতিতা ও পুরুষদের চরিত্রহীন বানাতে চান। তাই পতিতা শব্দের পরিবর্তে যৌনকর্মীদের শ্রমিক বলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি, খারাপ শব্দগুলোর পরিবর্তে ভালো শব্দ লাগিয়ে নারীদের খারাপ কাজে লিপ্ত করতে চায় কমিশন। চোরকে চোর ও ধর্ষককে ধর্ষক কেন বলা হয়? যেন মানুষ এ খারাপ কাজগুলো করতে না পারে। আর সরকার খারাপ কাজগুলো ভালো শব্দে প্রয়োগ করে মানুষকে খারাপ বানানোর চক্রান্ত করছে। এটা এক ধরনের শয়তানি।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এ যৌথ কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম। সমাবেশের পর গণমিছিলটি বায়তুল মোকাররম থেকে শুরু হয়ে পল্টন হয়ে কাকরাইলে গিয়ে শেষ হয়।