ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন শিগগিরই ঢাকা শহরের ভিতরে ‘প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের অভিযান শুরু হবে। আর এই অভিযান ডিএনসিসি ও ডিএমপি যৌথভাবে পরিচালিত করা হবে। ঢাকা শহরের ভিতরে অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশন বন্ধের জন্য এই অভিযান চলবে। ইতিমধ্যে অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। রাতে অভিযান করে এগুলো বন্ধ করে দিব।’
আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এসব কথা বলেন। ডিএনসিসির ৬, ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের আওতাধীন এলাকায় ৭টি প্যাকেজে মোট ২০ কি.মি. রাস্তা, ৩৪ কি.মি. নর্দমা ও ১৫ কি.মি. ফুটপাত নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।
নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মোঃ মঈন উদ্দিন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
ডিএনসিসি প্রশাসক নির্মাণ কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকার বাড়ির মালিক সমিতিকে অনুরোধ করবো আপনারা আপনাদের এলাকায় অবৈধ অটোরিকশা ঢুকতে দিবেন না। আপনাদের আবাসিক এলাকাগুলো যে পরিকল্পনা করে করা হয়েছে, সেই পরিকল্পনার বাহিরে কিছু করতে দিয়েন না। আবাসিক এলাকায় কোন বাণিজ্যিক কাজ করতে দিবেন না। সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে আপনারা স্থানীয় কমিউনিটি সোচ্চার হলে অবৈধ অটোরিকশা, অবৈধ হকার বন্ধ করা সহজ হবে।’
তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি সবাইকে অনুরোধ করবো আপনারা বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানি থেকে প্লট কেনার আগে মৌজা ম্যাপ চেক করে দেখবেন জলাধার কিনা। জলাধার হলে দয়া করে সেই প্লট কিনবেন না। জলাধার হলে পরবর্তীতে সেই প্লট পেতে ঝামেলা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সবাই একসময় ভাবতেন পল্লবী ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায়ন কোনদিন পাকা রাস্তা হবে না। এই এলাকায় শুধু গোডাউন ভাড়া দেওয়া হতো একসময়। পরিকল্পিতভাবে মাঠের জায়গা রাখা হয়নি, কোন গাছ লাগানো হয়নি।
ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ভিতর দিয়ে খাল ছিল। আমরা নাগরিক সমাজ আন্দোলন করেছি সেই খাল উদ্ধারের জন্য, মামলা পর্যন্ত করা হয়েছিল। ৭টি প্যাকেজের নির্মাণ কাজ শেষ হলে এই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হবে, জলাবদ্ধতা দূর হবে।’
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘এই এলাকায় যারা বসবাস করেন সবাইকে অনুরোধ করছি আপনারা এই বর্ষায় গাছ লাগিয়ে পুরো ইস্টার্ন হাউজিং এলাকাটিকে সবুজের চাঁদরে নিয়ে আসুন। আমি অনুরোধ করছি ছোট গাছ না লাগিয়ে বড় গাছ লাগাবেন। পরিকল্পনা করে একটা রোডে কৃষ্ণচূড়া লাগান, আরেকটা রোডে সোনালু লাগান। এরে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হবে।’ পরে ডিএনসিসি প্রশাসক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন।
আ. দৈ./ কাশেম