শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫,
১৩ বৈশাখ ১৪৩২
ই-পেপার

শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
অর্থ-বাণিজ্য
অর্থনীতিতে স্বৈরাচারের পদাঘাত - পর্ব ২
সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি ধ্বসে পড়া শেয়ারবাজারে
মরিয়ম সেঁজুতি
Publish: Monday, 21 April, 2025, 6:07 PM  (ভিজিট : 75)

স্বৈর সরকারের সময়ে ধ্বসে পড়া শেয়াবাজারের করুন হাল কিছুতেই কাটলো না। জুলাই পরবর্তী সময়ে সংকট আরো বেড়েছে। ৫ আগস্টের পর দেশের অর্থনীতির অন্যান্য খাতে ইতিবাচক কিছু  পরিবর্তন এলেও এর ছোঁয়া পায়নি শেয়াবাজারে। প্রতিদিনই কমছে মূল্যসূচক ও বাজারমূলধন। কমছে তারল্যপ্রবাহ। নীতি নির্ধারক থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরে আনাড়ি প্রশাসনের কারণে একসময়ের সোনার ডিম পাড়া হাঁস এখন অর্থ খাতের গলার কাাঁটা।
 
সরকার বদলের পর শেয়ারবাজার  সাময়িক সময়ের জন্য চাঙ্গা হয়ে উঠলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছিল। আশা জাগিয়েছিলো শেয়ারবাজারে হয়তো গতি ফিরবে। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই শুরু হয় দরপতন। কিছুতেই যেন স্থিতিশীলতায় ফিরছে না শেয়ারবাজারে। কোন উদ্যোগেই দরপতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না পুঁজিবাজার। দীর্ঘদিন থেকে ধৈর্য্য ধরে আস্থার প্রতিফল পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। যদিও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছেন, সংস্কার কার্যক্রম জোরদার করার মাধ্যমে শেয়ারবাজারকে আরো শক্তিশালী করা হবে।

তবে বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান বাজার প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানো এবং বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাই হয়ে উঠেছে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ ২০২৪ সালে পুঁজিবাজারে যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে, তা কাটাতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি বিনিয়োগের সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে হবে। জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বাজারে এখন একটি বড় সমস্যা হচ্ছে ভালো এবং বড় কোম্পানির অভাব। আগে যেসব কোম্পানি ভালো ছিল, এখন সেগুলো রুগ্ন অবস্থায় চলে গেছে। এছাড়া বাজারের আরো একটি বড় সমস্যা হচ্ছেÑ বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট।

দীর্ঘদিন থেকে এ সংকট চলে আসছে। এর সঙ্গে অর্থনৈতিক বিভিন্ন সংকট, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি এবং জাতীয় রাজনীতিসহ সবকিছু যোগ হয়েছে। এ অর্থনীতিবিদ বলেন, সবার আগে আস্থা সংকট দূর করতে পদক্ষেপ নিতে হবে। এক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আস্থা নিশ্চিত করতে হবে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের এই নিশ্চয়তা দিতে হবে, কারসাজির মাধ্যমে কেউ তার টাকা হাতিয়ে নিলে বিচার হবে। পাশাপাশি ভালো শেয়ারের সরবরাহ বাড়াতে হবে। তবে কাজটি খুব সহজ নয়। পাশাপাশি ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত করতে প্রয়োজনে সরকারকে আরো কিছু সুযোগ সুবিধা  দিতে হবে। 

বাজারের এই অবস্থার পেছনে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নেতৃত্বের দুর্বলতা দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। একদিকে বর্তমান কমিশনের শেয়ারবাজারের মতো টেকনিক্যাল খাতের ব্যাপারে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা নেই। অপরদিকে যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলার দক্ষতা নেই। পুরো কমিশন বাজার থেকে বিচ্ছিন্ন। সংশ্লিষ্ট কোনো অংশীজনের সঙ্গে কথাও বলেন না বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকছুদ। কেউ দেখা করতে চাইলেও সাক্ষাৎ দেন না। তবে আলোচ্য সময়ে তারা বেশ কিছু কোম্পানিকে বড় ধরনের জরিমানা করেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ঘটনায় মিডিয়া কাভারেজ ছাড়া তেমন কিছু অর্জিত হয়নি। কারণ এই জরিমানার টাকা আদায় হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে বর্তমান নেতৃত্বের পরিবর্তন না হলে বাজার ইতিবাচক হওয়ার সম্ভাবনা কম। 

যদিও শেয়ারবাজার সংস্কারের উদ্দেশ্যে গত বছরের আগস্ট অন্তবর্তী সরকার শেয়ারবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স গঠন করেছিল। এ টাস্কফোর্সের কাজের সহযোগিতার জন্য পরবর্তীতে ‘ফোকাস গ্রুপ’ গঠন করা হয়, যেখানে ১০ জন সদস্য রয়েছেন। পরবর্তীতে ফোকাস গ্রুপের দুই সদস্য নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন ওঠায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গ্রুপটি পুনর্গঠন করেছে। সম্প্রতি বিএসইসি ফোকাস গ্রুপ পুনর্গঠনের বিষয়ে একটি আদেশ জারি করেছে। নতুন ফোকাস গ্রুপের সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (লিস্টিং ডিপার্টমেন্টের প্রধান) মো. রবিউল ইসলাম এবং ইডিজিই এএমসি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সিএফএ সোসাইটি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মো. আসিফ খান। 

ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গত ৫ই আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন সরকার ব্যাংক, শেয়ারবাজারসহ সব খাতেই সংস্কারে হাত দেয়। এর অংশ হিসেবে সরকার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনেও (বিএসইসি) সংস্কার কার্যক্রম শুরু করে। সরকার বদলের পর সাময়িক সময়ের জন্য চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল বাজার। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছিল। আশা জাগিয়েছিলো শেয়ারবাজারে হয়তো গতি ফিরবে। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই শুরু হয় দরপতন। আর এই পতনেই চব্বিশ কেটে পঁচিশ সালের চার মাস চলছে। কিছুতেই যেন স্থিতিশীলতায় ফিরছে না শেয়ারবাজারে। কোন উদ্যোগেই দরপতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না পুঁজিবাজার। দীর্ঘদিন থেকে ধৈর্য্য ধরে আস্থার প্রতিফল পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। 

জুলাই পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে, শেয়ারবাজারে সংকট আরো বেড়েছে। ৫ আগস্টের পর দেশের অর্থনীতির অন্যান্য খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন এলেও ব্যতিক্রম শুধু শেয়ারবাজার। প্রতিদিনই কমছে মূল্যসূচক ও বাজারমূলধন। কমছে তারল্যপ্রবাহ। গত ৫ মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক ৮১৮ পয়েন্ট কমেছে। এতে ডিএসইর বাজারমূলধন কমেছে ৫৪ হাজার কোটি টাকা। সবকিছু মিলে শেয়ারবাজার গভীর খাদের কিনারায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারের এই অবস্থার পেছনে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নেতৃত্বের দুর্বলতা দায়ী। একদিকে বর্তমান কমিশনের শেয়ারবাজারের মতো টেকনিক্যাল খাতের ব্যাপারে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা নেই। অপরদিকে যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলার দক্ষতা নেই। পুরো কমিশন বাজার থেকে বিচ্ছিন্ন। সংশ্লিষ্ট কোনো অংশীজনের সঙ্গে কথাও বলেন না বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকছুদ। কেউ দেখা করতে চাইলেও সাক্ষাৎ দেন না। তবে আলোচ্য সময়ে তারা বেশ কিছু কোম্পানিকে বড় ধরনের জরিমানা করেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ঘটনায় মিডিয়া কাভারেজ ছাড়া তেমন কিছু অর্জিত হয়নি। কারণ এই জরিমানার টাকা আদায় হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে বর্তমান নেতৃত্বের পরিবর্তন না হলে বাজার ইতিবাচক হওয়ার সম্ভাবনা কম। 

শেয়ারবাজারে টানা দরপতন ও বিনিয়োগ নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস গতকাল রবিবারও বড় পতনের ঘরে ছিল শেয়ারবাজার। রবিবারসহ টানা ৫ কর্মদিবস পতন হয় শেয়ারবাজারে। সর্বশেষ ৫ কর্মদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ১৩১ পয়েন্ট এবং ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা। গতকাল রবিবার ডিএসইর সূচক কমেছে প্রায় ২৩ পয়েন্ট এবং বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা।

বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, জুলাই পরবর্তী পুঁজিবাজারে সংস্কার তো হয়নি, বরং আস্থার সংকট বেড়েছে। কিছু ব্রোকারেজ হাউজ ও তালিকাভুক্ত কোম্পানির জালিয়াতি ও স্বেচ্ছাচারিতা বেড়ে যাওয়ায় বাজারে আস্থার সংকট আরো গভীর হয়েছে। মশিউর সিকিউরিটিজের ১৬১ কোটি টাকার আত্মসাতের ঘটনা সর্বশেষ ধাক্কা হিসেবে কাজ করেছে। এর আগে ক্রেস্ট ও বানকো সিকিউরিটিজ কেলেঙ্কারির এখনও পূর্ণাঙ্গ সমাধান পায়নি। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় দৃশ্যমান পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবে কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বাজারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও শক্ত মনিটরিং ব্যবস্থার বিকল্প নেই। তা না হলে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার কঠিন হয়ে পড়বে, যার পরিণতিতে আরো গভীর সংকটে পড়তে পারে দেশের শেয়ারবাজার।

এর আগে গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসই-এক্স গত সপ্তাহে কমেছে ১০৭ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১৩ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বা দশমিক ২৭ শতাংশ। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ১০৭ কোটি টাকা বা দশমিক ১৬ শতাংশ। ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭০ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকায়। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা। দুই সপ্তাহের টানা পতনে বাজার মূলধন কমলো ৩ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা। সবকিছু মিলে শেয়ারবাজার গভীর খাদের কিনারায়। 

মূলত, গত ১৫ বছরে সেভাবে আইন, নীতি এবং করের বোঝা চাপিয়ে দেশের শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানে দেশজুড়ে যে পরিবর্তনের জোয়ার ওঠে, আশা ছিল শেয়ারবাজারেও এর ছোঁয়া লাগবে। আদতে কিছুই বদল হচ্ছেনি। আগামীতে বাজার কীভাবে এগিয়ে যাবে, তার কোনো লক্ষণ ও বাস্তব সংস্কার উদ্যোগের এখনো দেখা নেই। ফলে বিনিয়োগকারীরা বাজার ছাড়ছেন। স্টক এক্সচেঞ্জের শীর্ষ ব্রোকাররা সম্প্রতি এ বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, কমিশনের (বিএসইসি) কাজ বিনিয়োগকারী আনা নয়। তাদের কাজ বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা, যাতে কোম্পানিগুলো মূলধন সংগ্রহ করে এবং সাধারণ মানুষ বিনিয়োগে আসে। বাস্তবে বহু মাস কোনো আইপিও নেই, একটি আবেদনও জমা নেই। আগামী বছরেও আইপিও আসার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।  কারণ আবেদন করার পর আইপিও অনুমোদন হতে অন্তত এক বছর লাগে।

এমনত অবস্থায় সংকট নিরসনে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ স্টক হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। কিন্তু বৈঠকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যানকে সরানোর এবং বাজারকে সাপোর্ট দেয়ার বিষয়েও কোন কার্যকর সিদ্ধান্ত না থাকায় বাজারে নতুন করে আবার অস্থিরতা দেখা দেয়। সেই অস্থিরতার রেশ এখনো কাটেনি। 

আইসিবি চেয়ারম্যান ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. আবু আহমেদ বলেন, অতীতে যেসব টার্ণওভার বা ভলিউম তেভা গেছে সেটা ছিল জুয়া খেলার মতো। একদিকে মার্জিণ লোনের অবৈধ ব্যবহার অন্যদিকে, জুয়ারিদের খেলাÑ যদিও এখন সে পরিস্থিতি নেই। স্বভাবতই আগের মতো টার্ণওভার হবে না। সুদের হার বেড়েছে, অর্থনীতিতে তারল্য প্রবাহ কমেছে। সুদের হার বাড়লে শেয়ারবাজার সাধারণত নিম্নমুখী হয়। শেয়ার বাজারে সংস্কার হচ্ছে, এর রেজাল্ট পেতে একটু সময় লাগবে। 

 শেয়ারবাজারে এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ভালো শেয়ারের অভাব। আগে যেসব বড় বড় কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ছিল এখন সেগুলোর অনেকেই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। তাই এখন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত, নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে বা যেভাবেই হোক মেয়ারবাজারে বড় এবং ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত করা। প্রয়োজনে তাদের ইনসেনটিভ বাড়িয়ে দিতে হবে।  

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্যান্য খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হলেও এখানে এখনো সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি। তাদের মতে, এ খাতে সংস্কারে ৪টি বিষয় জরুরি। এগুলো হলো-সদিচ্ছা, জ্ঞান, চাপমুক্ত থাকা এবং গুণগত মানের নেতৃত্ব। কিন্তু বর্তমান কমিশনের সদিচ্ছা থাকলেও শেয়ারবাজারের মতো টেকনিক্যাল খাতের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা নেই। সরকার ও প্রভাবশালীদের পক্ষ থেকে বড় ধরনের চাপ নেই। কিন্তু নেতৃত্বের দুর্বলতা আছে।

আ.দৈ/আরএস

   বিষয়:  সংস্কারের   ছোঁয়া   লাগেনি   ধ্বসে   পড়া   শেয়ারবাজারে  
আপনার মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

পাঁচ বছর আগে অপহরণ হওয়া স্কুলছাত্র নিজেই ফিরল বাসায়
রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে, এটি সংস্কার করা প্রয়োজন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
বৈষম্য নিরসন ও ৩ দফা দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ইবিতে ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলোচনা সভা
নিজ দেশেই ‘বোমা’ ফেলল ভারতীয় বিমান বাহিনী
আরো খবর ⇒

জনপ্রিয় সংবাদ

ডিএনসিসিতে বর্জ্যব্যবস্থাপানা বিভাগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান
কাশ্মীরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ভিডিও প্রকাশ
পদত্যাগ করলেন আটাবের সবুজ মুন্সী
ঢাকা দুই সিটিতে আওয়ামী দোসর ও দুর্নীতিবাজদের রক্ষায় বিএনপির ব্যাপক তদবির
রানা প্লাজা ট্রাজেডির ১২ বছর , তবু মেলেনি বিচার, নিশ্চিত হয়নি ক্ষতিপূরণ
অর্থ-বাণিজ্য- এর আরো খবর
সম্পাদক ও প্রকাশক : কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ
নির্বাহী সম্পাদক : তৌহিদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মাসুদ আলম

প্রকাশক কর্তৃক ১১/১/বি উত্তর কমলাপুর, মতিঝিল থেকে প্রকাশিত
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : সাগুফতা ডি লরেল (তৃতীয় তলা), কমলাপুর বাজার রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

মফস্বল সম্পাদক : ০১৭৭৫৮১৮২৭৫, ফোন : ০১৭১২-৫০১২৩৬, ০২-৫৮৩১৬১০৯ , ই-মেইল : ajkerdainik@gmail.com
About Us    Advertisement    Terms & Conditions    Privacy Policy    Copyright Policy    Circulation    Contact Us   
© ২০২৪ আজকের দৈনিক
🔝