আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনার সূত্র ধরে নিজেদের যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিএনপি।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল সোয়া তিনটায় গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক বসেছেন বিএনপির লিয়াঁজো কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
১২ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে উপস্থিত আছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান হায়দার, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রমুখ।
জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দলের সঙ্গেও বসবে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে সন্ধ্যায় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে দলটির।
গত ১৬ এপ্রিল নির্বাচনের সময় ও রোডম্যাপ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। সেখানে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান তারা। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ না জানিয়ে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে বলে জানান। সরকারের এই অবস্থান নিয়ে নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা জানায় বিএনপি।
পরদিন ১৭ এপ্রিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বসে বিএনপি। সে বৈঠকের যে প্রতিক্রিয়া দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাতেও আছে অসন্তোষের ছাপ। এরপর রাতেই স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনায় বসে দলটি।
বিএনপির দলীয় সূত্র বলছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখা হবে। দলটি মনে করছে, নির্বাচন নিয়ে সরকার ততটা আন্তরিক নয়। তারা নির্বাচনকে তুলনামূলক কম গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকারের ওপর চাপ তৈরির অংশ হিসেবে সমমনাসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করবে বিএনপি। দুই সপ্তাহের মধ্যে বৈঠকগুলো শেষ করতে চায় তারা। তারপর সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বিষয়ে আবার নিজেদের অবস্থান জানান দেবে দলটি।
আ.দৈ/আরএস