ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রায় ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুটি চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার (১৩ এপ্রিল) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ওই চার্জশিট অনুমোদনের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন । তিনি আরো জানান, ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছিল। ওই মামলায় সাবেক এমপি আউয়াল দম্পতির ৪৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
দুদকের দায়ের করা মামলায় তখন উল্লেখ করা হয়,পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়ালের বিরুদ্ধে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছে দুদক। একইসঙ্গে তার স্ত্রী মিসেস লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের আরো একটি মামলা করা হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক মো. আলী আকবর বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলা দুটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, এ কে এম এ আউয়াল অবৈধ উপায়ে অর্জিত জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অর্থের মাধ্যমে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন। তিনি দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে মোট ১৫ কোটি ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ গোপন করেছেন। দাখিলকৃত বিবরণীতে ওই জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অর্জিত অর্থের উৎস ও খাতের মিথ্যা বিবরণী দাখিল করায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
অপর দিকে আউয়ালের স্ত্রী লায়লা পারভীন অবৈধ উপায়ে অর্জিত জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অর্থের দ্বারা ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন। তিনি দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে জ্ঞাত-আয়ের সাথে সামঞ্জস্যহীন বর্ণিত সম্পদ অর্জন করার অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
অথচ দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর ওই মামলা দুইটি তদন্ত প্রতিবেদন অবৈধ সম্পদের পরিমান উল্লেখ করা হয়েছে মাত্র ৬ কোটি টাকার। এরমধ্যে প্রথম মামলায় এ কে এম এ আউয়ালের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে ৫ কোটি ৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দ্বিতীয় মামলায় চার্জশিটে তার স্ত্রী পারভীনের মাত্র ৯০ লাখ ৬২ হাজার ৬৩৩ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আ. দৈ/ কাশেম