বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চলতি মাসেই দেশে ফিরতে পারেন বলে জানাচ্ছেন দলটির নেতারা। লন্ডনে তার চিকিৎসা প্রায় শেষ পর্যায়ে। শারীরিক অবস্থাও আগের চেয়ে অনেক ভালো। চিকিৎসকরাও বলছেন, তিনি এখন দেশে ফেরার মতো অবস্থায় আছেন।
লন্ডনে বিএনপির নেতারা জানান, খালেদা জিয়ার কয়েকটি পরীক্ষা শেষ হয়েছে, আরও কিছু বাকি আছে। সব রিপোর্ট পাওয়ার পরই দেশে ফেরার দিন ঠিক করা হবে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ। মানসিকভাবেও ভালো আছেন। তবে সব রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘চলতি মাসেই ম্যাডাম ফিরতে পারেন। তবে এখনো দিন ঠিক হয়নি।’
খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার জানান, রিপোর্ট পাওয়ার পরই ফেরা নিশ্চিত হবে।
এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে খালেদা জিয়া দেশে ফিরতে পারেন।এদিকে চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হয়। সেখানে ‘লন্ডন ক্লিনিক’ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি ছেলের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অন্যদিকে, খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার খবরের পর থেকেই তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে আছেন তারেক রহমান। মামলার কারণে এতদিন দেশে ফিরতে পারেননি। তবে এখন প্রায় সব মামলা শেষ হয়েছে। একটি মাত্র মামলা বিচারাধীন।
বিএনপি নেতারা বলছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি। নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।
তাদের মতে, আগামী নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণার পর তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন।তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ একজন নেতা বলেন, ‘কবে ফিরবেন, সেটা তিনি নিজেই জানাবেন। তবে এখনও দিন ঠিক হয়নি।’
বিএনপির আরেক সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘তারেক রহমান না থাকলেও দল চালাতে কোনো সমস্যা হয়নি। বরং লন্ডন থেকেও তিনি নিয়মিত দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের সময় নির্ধারিত হলে তিনি নিশ্চয়ই দেশে ফিরবেন।’সবমিলিয়ে, খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার বিষয়টি এখন অনেকটাই নিশ্চিত। আর তারেক রহমানের ফেরা নির্ভর করছে সময়, পরিস্থিতি ও আইনি প্রক্রিয়ার ওপর। দলীয় নেতারা মনে করছেন, এই দুই নেতার ফিরে আসা বিএনপির জন্য বড় এক পরিবর্তনের শুরু হতে পারে।