ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বিরোধী মন্তব্যের অভিযোগে গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিরণের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে মহানগর ছাত্রদলের একাধিক ইউনিট। আজ শনিবার (৫ এপ্রিল) নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক পৃথক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে টঙ্গী পশ্চিম থানা, টঙ্গী পূর্ব থানা, গাছা থানা এবং টঙ্গী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদল।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, মাহমুদুল হাসান মিরণ ছাত্রলীগের একাধিক নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে সংগঠনের আদর্শ ও নীতির পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছেন। সম্প্রতি গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে তার একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের জন্ম দেয়। একইসঙ্গে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে, যেখানে মিরণকে তার নিজস্ব বলয়ের বাইরে কাউকে কমিটিতে না রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে শোনা যায়।
এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মহানগর ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট বিক্ষোভে অংশ নেয়। টঙ্গী পূর্ব থানার কলেজ গেট থেকে চেরাগআলী মার্কেট পর্যন্ত মিছিলের নেতৃত্ব দেন ছাত্রদল নেতা আল রাব্বি, হৃদয় মাহমুদ শুভ, রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও ইয়াসির খান। টঙ্গী পশ্চিম থানায় বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন এনামুল হক পারভেজ, হৃদয় হোসেন ও রাফি। একইসঙ্গে টঙ্গী সরকারি কলেজ এবং গাছা থানা এলাকাতেও পৃথক বিক্ষোভ হয়।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, মিরণ ছাত্রদলের পদ ব্যবহার করে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন। অবিলম্বে তাকে বহিষ্কার করে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান তারা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারি গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাত সদস্যের একটি আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। এর পর থেকেই ওই কমিটিকে ঘিরে বিভাজন এবং মিরণের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এমনকি কমিটি ঘোষণার পরদিন, ২৭ জানুয়ারি রাজবাড়ি রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় নতুন কমিটির সদস্যরা হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের দাবি, সংগঠনের আদর্শে বিশ্বাসী সকল কর্মীদের একতাবদ্ধ রাখতে হলে মিরণের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
আ. দৈ./কাশেম