এবার পুরো আমেরিকায় বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে দেশটির বামপন্থী সংগঠনগুলো। তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর্তৃত্ববাদী আচরণ ও এবং ধনকুবের সমর্থিত এজেন্ডার বিরুদ্ধে শনিবার এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন । ট্রাম্পবিরোধী কর্মসূচিতে ওয়াশিংটন ডিসি, ফ্লোরিডা এবং দেশের অন্যান্য স্থানে ৫ লাখের বেশি মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোখের টার্গেট রয়েছে।
এদিকে দ্য গার্ডিয়ান জানায়, বিক্ষোভের পরিকল্পনাকারী দলগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ইনডিভিজিবল। এর প্রতিষ্ঠাতা এজরা লেভিন বলেন, 'গত কয়েক বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় একদিনের বিক্ষোভ হতে যাচ্ছে।' প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বড় কর্মসূচি ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল মলে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে মেরিল্যান্ডের ডেমোক্র্যাট জেমি রাসকিন, ফ্লোরিডার ম্যাক্সওয়েল ফ্রস্ট এবং মিনেসোটার ইলহান ওমরসহ কংগ্রেস সদস্যরা জনতার সঙ্গে কথা বলবেন।
বিক্ষোভকারীদের ওয়েবসাইটে বলা হয়, 'আধুনিক ইতিহাসে সবচেয়ে নির্লজ্জ ক্ষমতা দখল বন্ধ করতে দেশব্যাপী এই কর্মসূচি। তারা বলেন, ট্রাম্প, ইলন মাস্ক এবং তাদের কোটিপতি বন্ধুরা আমাদের সরকার, আমাদের অর্থনীতি এবং আমাদের মৌলিক অধিকারের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে।'
এতে আরও বলা হয়, ‘তারা আমেরিকার কিছু অংশ কেড়ে নিতে চায়। সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক অফিস বন্ধ করে দেওয়া, কর্মী ছাটাই, ভোক্তা সুরক্ষা আইন বাতিল করা- সবকিছুই তাদের কর কেলেঙ্কারির অর্থায়নের জন্য। তারা আমাদের করের ডলার, আমাদের পাবলিক সার্ভিস এবং আমাদের গণতন্ত্র অতি ধনীদের হাতে তুলে দিচ্ছে। আমরা যদি এখনই লড়াই না করি, তাহলে বাঁচানোর মতো কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।’
গত ১ এপ্রিল ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর দেশটির শেয়ার বাজারে বড় দর পতনের পর বিক্ষোভ শুরু হয়। এই বিপর্যয় সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুক্রবার বলেলেন, ‘আমার শুল্কনীতি পরিবর্তন হবে না।’
আ. দৈ./কাশেম